প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:০১ পিএম
মহিলা পরিষদের উদ্যোগে ‘বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের ঘটনায় করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংগঠনের আনোয়ারা বেগম-মুনিরা খান মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় বক্তব্য দেন, মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অধ্যাপক মাইনুল ইসলাম, অধ্যাপক কাবেরী গায়েন, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক প্রমুখ।
ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘একমাত্র শক্তিশালী সামাজিক আন্দোলন সমাজ ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে অপরাধ দমনে সহায়তা করতে পারে। সমাজে দুর্নীতি, ক্ষমতার যথেচ্ছ ব্যবহার, সুশাসনের অভাবের ফলে বিচার প্রক্রিয়ায় বিলম্ব, নারীবিরোধী প্রচারণা বৃদ্ধি, নারী-পুরুষের অংশীদারত্বে সমতা না থাকা, সমাজে সুস্থ সংস্কৃতিচর্চার সীমিত সুযোগ, মাদকের বিস্তার, যুবসমাজের কর্মসংস্থানের সংকটের ফলে অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে, নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
মফিদুল হক বলেন, ‘ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের ক্ষেত্রে নীতিমালা করতে হবে; গণমাধ্যমকে আরও তৎপর হতে হবে। ছাত্রদের রাজনৈতিক প্রশ্রয়ের বলয় থেকে মুক্ত করতে হবে।’
চন্দ্রনাথ পোদ্দার বলেন, ‘আইনের শাসন জোরালো না হলে সামাজিক অনাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতেই থাকবে। পরিবার থেকে সন্তানদের মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন সুশিক্ষা দিতে হবে। পাশাপাশি মিডিয়াতে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে মতবিনিময় সভার আয়োজন করতে হবে, প্রণীত আইনের বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে।’
অধ্যাপক মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটিকে শক্তিশালী করতে হবে। সেই সঙ্গে কমিটিকে রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে গিয়ে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি নিয়ে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান এবং শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে।’