× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

অমর একুশে বইমেলা

বই বেশি কবিতার, পাঠক চায় উপন্যাস

সেলিম আহমেদ

প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৪ ০৯:৫৭ এএম

আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৪ ১০:৪১ এএম

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

বছরজুড়ে লেখকরা অপেক্ষা করেন বইমেলার জন্য। কেউ কবিতা, কেউ গল্প-উপন্যাস, কেউবা আবার ভ্রমণকাহিনীসহ নানা রকমের লেখালেখি মলাটবন্দি করে আনেন বইমেলাতে। এভাবেই বইমেলা হয়ে ওঠে কবি, সাহিত্যিক, প্রকাশক আর বইপ্রেমীদের মিলনমেলা। এবারের মেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৮ দিনে ১ হাজার ৬২টি কাব্যগ্রন্থ নিয়ে প্রকাশনার দিক থেকে শীর্ষ অবস্থানে আছে কবিতার বই। মেলায় মোট প্রকাশিত বইয়ের এক-তৃতীয়ংশই কবিতার বই। তবে মেলায় বিক্রিতে এগিয়ে রয়েছে উপন্যাসের বই। প্রকাশকদের মতে, উপন্যাসের পর বেশি বিক্রি হয় গল্পের বই। 

বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপবিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবারের মেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩ হাজার ২৫৬টি বই প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৭৩টি উপন্যাস নিয়ে প্রকাশনার দিকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে উপন্যাস। ৪৫৩টি বই নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে গল্পগ্রন্থ। এ ছাড়াও প্রকাশিত হয়েছে প্রবন্ধ ১৮১টি, গবেষণা ৭৩টি, ছড়া ৯৮টি, শিশুতোষ ৬১টি, জীবনী ১২০টি, রচনাবলি ২৯টি, মুক্তিযুদ্ধ ৬৫টি, নাটক ২৯টি, বিজ্ঞান ৪১টি, ভ্রমণ ৬০টি, ইতিহাস ৫০টি, রাজনীতি ২৫টি, স্বাস্থ্য ২৫টি, বঙ্গবন্ধুর ওপর ২৫টি, রম্য/ধাঁধা ২৭টি, ধর্মীয় ৫৭টি, অনুবাদ ৫২টি, অভিধান ১৯টি, সায়েন্স ফিকশন ৩৩টি এবং অন্যান্য গ্রন্থ ১৯৮টি।

একাধিক পাঠক ও প্রকাশক বলেন, মেলায় কবিতার বই প্রকাশ হয় ঠিকই। কিন্তু এসব বইয়ের ক্রেতা কম।

কুলাউড়া থেকে গতকাল মেলায় এসেছিলেন আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মেলার প্রতি আলাদা একটা টান রয়েছে। প্রতি বছর মেলায় আসি, পছন্দের লেখকদের বই সংগ্রহ করি। বিশেষ করে উপন্যাস পড়তে বেশ ভালো লাগে। তাই উপন্যাসের বই কিনি বেশি। আজও কয়েকটি উপন্যাসের বই কিনলাম।’ 

মেলায় কবিতার বই বেশি প্রকাশ হওয়া প্রসঙ্গে উৎস প্রকাশনের প্রকাশক মোস্তফা সেলিম বলেন, ‘সাহিত্যের সবচেয়ে কঠিন বিষয় হলো কবিতা। কিন্তু এখনকার অনেক কবি নিজের ভাবকে কোনোরকমে উপস্থাপন করতে পারলেই সেটাকে কবিতা মনে করেন। অনেক কবি নিজের পকেটের টাকা খরচ করে কবিতার বই প্রকাশ করেন। কিন্তু পাঠকরা এসব গ্রহণ করেন না।’ 

তবে আবিষ্কার-এর কর্ণধার দেলোয়ার হাসান বললেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘জন্মগতভাবেই বাঙালি কবিতাপ্রিয়। কবিতার মাধ্যমে মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে। তাই মানুষ কবিতাও লেখে বেশি। এ কারণে মেলায় কবিতার বইও বেশি প্রকাশিত হয়।

গতকালের নতুন বই

গতকাল বৃহস্পতিবার বইমেলায় নতুন বই এসেছে ১২৭টি। উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে মিজান পাবলিশার্স থেকে এসেছে ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাস ‘খুঁজে বেড়াই তারে’ ‘প্রিয় মুখ’ ও ‘প্রণয় উপাখ্যান’। পাঠক সমাবেশ থেকে এসেছে আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া অনূদিত ‘আলবার্ট আইনস্টাইন : নির্বাচিত বিজ্ঞান ও দর্শন বিষয়ক রচনা এবং উদ্ধৃতি’। ঐতিহ্য থেকে এসেছে আনোয়ারা সৈয়দ হকের ভ্রমণ কাহিনী ‘ভ্রমণ রচনাবলী’ (দ্বিতীয় খণ্ড)। সময় প্রকাশন থেকে এসেছে সামিয়া নিপার উপন্যাস ‘অলীক ভুবন’। রাদ্ধ প্রকাশনী থেকে এসেছে লুৎফর রহমানের উপন্যাস ‘সিলভিয়ার প্রতিশোধ’। পাঞ্জেরী পাবলিকেশন থেকে এসেছে হাবিবুর রহমানের কাব্যগ্রন্থ ‘মর্গের বিছানায় ঘুম’। নয়েস পাবলিকেশন থেকে এসেছে ঝরনা রহমানের গল্পগন্থ ‘নির্বাচিত প্রেমের গল্প : তুমূল বৃষ্টির কোরাস’।

জায়গা পরিবর্তন করলে ঐতিহ্য হারাবে বইমেলা : বাপুস

বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে স্থানান্তর না করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি (বাপুস)। গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণে বাপুসের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সন্মেলনে এ দাবি জানান তারা।

সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাপুসের সহসভাপতি ও বইমেলা স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক শ্যামল পাল বলেন, ‘আমরা নানা সূত্রে জেনেছি যে, একুশে বইমেলাকে অন্য খানে সরিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধীরাও এ চক্রান্তে যুক্ত রয়েছে। আমরা এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট এবং নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদ জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলন করেছি। আমরা মনে করি, এই ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হলে তা হবে এই বইমেলাকে হত্যা করার শামিল।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের একমাত্র দাবি, অমর একুশে বইমেলাকে বাংলা একাডেমি চত্বর ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া যাবে না।’ 

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন অন্যপ্রকাশের প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম ও আকাশ পাবলিকেশন্সের স্বত্বাধিকারী ও বাপুসের সাবেক সভাপতি আলমগীর শিকদার লোটন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অনুপম প্রকাশনীর প্রকাশক মিলন রায়, আহমেদ পাবলিশিং হাউজের স্বত্বাধিকারী মিজবাহ উদ্দীন আহমেদ, পার্ল পাবলিকেশন্সের হাসান জায়েদি, তাম্রলিপির স্বত্বাধিকারী তারেক হাসান রনিসহ বাপুসের অন্যান্য নেতা ও প্রকাশকরা।

লেখক বলছি

গতকাল ‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন লেখক ও আলোকচিত্রশিল্পী নাসির আলী মামুন, পুঁথিগবেষক জালাল খান ইউসুফী, কথাসাহিত্যিক মাহমুদুন নবী রনি এবং কবি রনি রেজা। 

আজকের আয়োজন

আজ শুক্রবার। অমর একুশে বইমেলার ৩০তম দিন। মেলা শুরু হবে সকাল ১১টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। 

 


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা