গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১২:১৭ পিএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১৩:৫১ পিএম
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। প্রবা ফটো
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ নারী-শিশুসহ ৩২ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দগ্ধদের কেউই আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা এক বোর্ড সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এসব তথ্য দেন। সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে ভর্তি রোগীদের শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘আইসিউতে ভর্তি আছেন ৬ জন। তাদের সবারই ৯০ শতাংশের বেশি বার্ন। ৮০ থেকে ৯০ শতাংশের বার্ন আছে ১০ জনের।
৫০ শতাংশের বেশি বার্ন হয়েছে ১৬ জনের। শিশুদের অবস্থা সবচেয়ে বেশি আশঙ্কাজনক। ১০ শতাংশের বেশি বার্ন হলেই শিশুদের আমরা এলার্মিং বলি। এত বড় খারাপ ঘটনা এটা খুবই মর্মান্তিক। ১০ বছরে শিশু রয়েছে ৭ জন। ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে শিশু রয়েছে ৬ জন। সবমিলিয়ে শিশু রয়েছে ১৩ জন।’
রোগীদের সবার অবস্থা শঙ্কাজনক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যেকোনো বার্ন রোগী যতক্ষণ বাসায় না যায় ততক্ষণ তার অবস্থা আমরা বলতে পারি না। তবে সবার অবস্থাই খারাপ।
আগের দিন বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় গাজীপুরে সিলিন্ডারে গ্যাস লিকেজে গাজীপুরের মৌচাক তেলিরচালা এলাকায় রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে।
জানা যায়, যে বাসায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হয়ে বের হতে থাকা গ্যাস রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বেরিয়ে যে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে, তা বুঝতে পারেনি কেউ। সে সময় পাশের আরেকটি বাসায় চুলা ধরাতে গেলে পুরো রাস্তায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তাতেই দগ্ধ হয় সবাই।
রাতেই তাদের নিয়ে আসা হয় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে। সে সময় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩৪ জন বলা হলেও বৃহস্পতিবার সকালে তা সংশোধন করে ৩২ জন বলে জানানো হয়েছে।