গাবতলীতে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিহত
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১৩:৩০ পিএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১৪:২৬ পিএম
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত গাবতলীতে সড়ক অবরোধ করেন নিহত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সহকর্মীরা। প্রবা ফটো
গাবতলীতে পিকআপের ধাক্কায় আমেনা বেগম নামের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) এক নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিহতের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে সাড়ে তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন তার সহকর্মীরা।
পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সড়ক অবরোধের কারণে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত গাবতলী হয়ে কোনো যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ করতে পারেনি। রাজধানী থেকে কোনো গাড়ি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যেতে পারেনি। ফলে সড়কের উভয় পাশে দেখা দেয় দীর্ঘ যানজট।
রাজধানীমুখী লেনে আসাদগেট ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুর পর্যন্ত যানজট বিস্তৃত হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন। তবে সকাল পৌনে ১০টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
দুর্ঘটনায় নিহত আমেনা বেগম নামের ওই নারী তার স্বামী মো. আবদুল করিমের সঙ্গে সিটি করপোরেশন নতুন মহল্লার ৪ নম্বর গলির একটি বাসায় থাকতেন।
পুলিশ জানায়, সকালের পৌনে ৬টার দিকে ওই পিকআপটি ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই ওই নারীর মৃত্যু হয়।
পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সহকর্মীরা জানান, পিকআপটি মাটি ভর্তি করে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের দিকে যাচ্ছিল। খানাখন্দে ভরা নির্মাণাধীন সড়কে বেপরোয়া গতিতে চলতে থাকা পিকআপচালক কিছুটা সামনেই গভীর কাটা গর্ত দেখে হতবুদ্ধি হয়ে ডানদিকের ফুটপাথের দিকে গাড়ি চালিয়ে দিলে তা আমেনা বেগমকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে প্রায় ১০০ ফুট দূরে উড়িয়ে নিয়ে নিচের খাদে সজোরে আছড়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই আমেনা বেগমের মৃত্যু হয়েছে।
পিকআপটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো চ-১১-৪৭৫৫। পিকআপটি জব্দ করা হয়েছে। চালক গ্রেপ্তার আছেন।
দুর্ঘটনার পরপরই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রায় ১ হাজার ৫০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বসে অবরোধ সৃষ্টি করলে রাস্তার উভয় পাশে গাড়ির দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে মিরপুর ডিভিশনের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখলেও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বলছিলেন তাদের ঝুঁকিভাতাসহ অন্য দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার আগ পর্যন্ত তারা অবরোধ চালিয়ে যাবেন।
পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা আগে থেকেই দাবি জানিয়েছিলেন, কোনো কর্মীর মৃত্যু হলে তার পরিবারের সদস্যকে একই চাকরি দিতে হবে। এটি মেয়রকে ঘটনাস্থলে এসে মেনে নিতে হবে বলে দাবি করেন তারা।
পরে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। সকাল পৌনে ১০টার দিকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সড়ক ছেড়ে গেলে যান চলাচল শুরু হয়।
অপ্রিতিকার ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থল গাবতলী তিনরাস্তায় অতিরিক্ত দু প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়।