প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৪ ১৭:২২ পিএম
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৪ ১৮:৫৮ পিএম
শনিবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির অয়োজনে শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় কথা বলেন খ. মহিদ উদ্দিন। প্রবা ফটো
তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির বড় কারণ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘শুধু আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিয়ে কিশোর অপরাধ দমন সম্ভব নয়। কিশোর অপরাধ দমনে সামাজিক ও পারিবারিক সচেতনতা বাড়াতে হবে।’
শনিবার (২৩ মার্চ) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির অয়োজনে ‘সোশ্যাল মিডিয়ার অবাধ ব্যবহারের কারণে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে’ শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এ কথা বলেন খ. মহিদ উদ্দিন।
বাংলাদেশ চলচিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির কারণ নিয়ে এ ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রস্তাবের পক্ষে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ এবং বিপক্ষে সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করে।
ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, আজকে যারা কিশোর তারাই আগামীর বাংলাদেশ। তাই কিশোরদের অপরাধে জড়িত হওয়া থেকে আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার পরিত্যাগ করতে হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি। এগুলোর ইতিবাচক ব্যবহারের মাধ্যমে উপকৃত হতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার যেকোনো নেতিবাচক ব্যবহার পরিত্যাগ করতে হবে।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং কালচারের নেপথ্যে মদদদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির প্রবণতাকে আরও বেশি উস্কে দিচ্ছে। বিশেষ করে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, লাইকি, ইমু, মাইস্পেস, হাইফাইভ, বাদুসহ নানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার কিশোর অপরাধের মাত্রাকে ভয়ানক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিশোর তরুণদের জন্য বর্তমানে নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ওয়েব সিরিজ। কিছু কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তুমুল অশ্লীলতা, নোংড়া সংলাপ, উদ্ভট গল্প দিয়ে ওয়েব সিরিজ প্রদর্শিত হচ্ছে। এসব ওয়েব সিরিজগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে সহজেই কিশোর-কিশোরীদের আসক্ত করে ফেলছে।
প্রতিযোগিতায় আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিতর্ক প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. রাশেদা রওনক খান, সাংবাদিক এস এম ফয়েজ, মাসুদা লাবনী এবং জুমাতুল বিদা।