প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৪ ২৩:৪৪ পিএম
রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ঢাকা জেলা প্রশাসন আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। প্রবা ফটো
মহান মুক্তিযুদ্ধে ঠিক কতজন শহীদ হয়েছেন সে প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘অনেকেই বলেন মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ লোক কীভাবে মারা গেল। যশোরের চুকনগরে যান, সেখানে একদিনে ২২ হাজার লোককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।’
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ঢাকা জেলা প্রশাসন আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক মুক্তিকামী ভাইদের কবর দিতে পারিনি, অনেককে পার্শ্ববর্তী দেশের সীমান্ত এলাকায় কবর দিয়েছি। ১৯৭৫ সালের পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃত ও পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। নতুন প্রজন্মের সবাইকে প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে। আমরা বীরের জাতি, আমরা মাথা উঁচু করে থাকব। আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক আন্দোলনের প্রেরণা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা যারা সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছি তাদের সবার প্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা সামনের দিনেও অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ। ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম বিপ্লব, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঢাকা মহানগর ইউনিট কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুর রহমান শহীদ ও সাবেক সহকারী কমান্ডার ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী।