প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:২২ পিএম
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৪৩ পিএম
শিগগিরই রাজধানীর মানুষ যানজটের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে আশা প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী সড়কে রয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে যানজট কীভাবে সহনীয় রাখা যায়, সে বিষয়ে ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে। আশা করি, শিগগিরই যানজট কমে যাবে।’
সোমবার (১ এপ্রিল) বিকালে সচিবালয়ে আসন্ন ঈদুল ফিতরে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, ঈদের আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতাদি পরিশোধ, সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখাসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘রমজান শুরুর পর থেকে দুপুর গড়ালেই ঢাকার সড়কগুলোতে প্রচণ্ড যানজট শুরু হয়। এই যানজট আরও তীব্র হতে শুরু হয় যখন ঈদ ঘনিয়ে আসে। বিশেষ করে মার্কেটসংলগ্ন রাস্তাগুলোতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে। দশ মিনিটের পথ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও গন্তব্যে পৌঁছানো যাচ্ছে না। রমজানে যানজট কিছুটা বাড়ে এটা সত্য। তবে ঈদ ঘনিয়ে আসলে এটা আরও বাড়ে। কারণ ঈদ শপিংয়ের জন্য মানুষ মার্কেটে যায়। আবার উন্নয়নকাজের জন্য কিছু রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, এখন ঈদের মার্কেটের জন্যই বিকালের পর থেকে সারা ঢাকার শহর অচল হয়ে যায়। শুধু এক জায়গায় নয়। আমাদের অভিজ্ঞতায় মনে হয় আর দুই-চার দিনের মধ্যেই ঢাকা শহরে যানজট কমে যাবে। তবে যানজট চলে যাবে। আমাদের ঘরমুখী মানুষের ঢল যেখানে নামবে সেখানে। শহরের যানজট আর চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই কমে যাবে।’
৯ এপ্রিল ছুটি হয়নি; তাহলে ঘরমুখো মানুষের চাপ কীভাবে সামাল দেওয়া হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের ছুটি চাঁদ দেখার ওপর নির্ধারণ হয়। ২৯ রোজা হলে ঈদ ১০ তারিখে হয়। তাহলে ৯ এপ্রিল ঘরমুখো মানুষের প্রচণ্ড ভিড় পড়বে। আজকে কেবিনেটে আলোচনা করে ছুটিটি অপশনাল করা হয়েছে। যারা প্রয়োজন মনে করবেন তারা ৯ তারিখ ছুটি নিতে পারবেন। সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো অপশনাল ছুটি হিসেবে নিতে পারবে। আর ব্যাংক ও অর্থনৈতিক প্রকিষ্ঠানগুলো চালু থাকবে।’
শ্রমিকদের ধাপে ধাপে ছুটি দেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিজিএমইএ, বিকেএমইএ শ্রমিক সংগঠনগুলো বসে ছুটির দিকে খেয়াল রেখে তারা এই সিদ্ধান্ত নেবে। যাতে ছুটিটা একসঙ্গে না হয়, ধাপে ধাপে ছুটির ব্যবস্থা করবে।’
আসন্ন পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানকে ঘিরে প্রতিবছর আমরা একটা সময় ধরে দিই। হঠাৎ একটা সমস্যা হলে আমাদের পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী সজাগ রয়েছে। পহেলা বৈশাখর দিন মঙ্গল শোভাযাত্রা হোক বা যাই হোক, সেখানে কোনো বাধা নেই। তবে সন্ধ্যার পর সীমিত করে দিতে চেয়েছি, যাতে করে উদ্যানে, রাস্তাঘাটে, উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান না করে একটা কমিউনিটি হল বা আবদ্ধ স্থানে নিয়ে যাবে। যাতে করে সবাই ভালো থাকে।’