× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

৬ ডিবি কর্তকর্তার সোনার বার ডাকাতি

এক বছরেও মামলার চার্জশিট দিতে পারেনি পিবিআই

ফেনী সংবাদদাতা

প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২২ ১৪:৪৩ পিএম

আপডেট : ১১ আগস্ট ২০২২ ১৫:১৭ পিএম

সোনার বার ডাকাতিতে জড়িত ৬ ডিবি কর্তকর্তা। ছবি সংগৃহীত

সোনার বার ডাকাতিতে জড়িত ৬ ডিবি কর্তকর্তা। ছবি সংগৃহীত

ফেনীর সদর উপজেলার ফতেহপুরে সোনার বার ডাকাতির ঘটনার মামলার বছর পেরিয়ে গেলেও চার্জশিট দেয়নি তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই মামলায় ফেনী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সাইফুল ইসলামসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৮ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরের হাজারী গলির স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাশ ২০টি সোনার বার নিয়ে প্রাইভেটকারে ঢাকা যাওয়ার পথে সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাস এলাকায় ডিবি পুলিশ তার গাড়ির গতিরোধ করে। এরপর গোপাল কান্তি দাশকে আটক করে তল্লাশির নামে তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে ও সোনার বারগুলো নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখায় পুলিশ।

এ ঘটনায় ডিবির পরিদর্শকসহ ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ওই বছর ১০ আগস্ট রাতে ফেনী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম, উপপরিদর্শক মোতাহার হোসেন, নুরুল হক, মিজানুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক অভিজিৎ বড়ুয়া ও মাসুদ রানাকে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশ। একই সঙ্গে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে তাদের হেফাজত থেকে ১৫টি সোনার বার উদ্ধার করে পুলিশ। কয়েক দফা রিমান্ড শেষে ওই ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। 

এ ঘটনায় মামলার বাদী ব্যবসায়ী গোপাল দাশের সাবেক ব্যবসায়ী অংশীদার সমিদুল আলম ভুট্টো গত বছরের ১৫ আগস্ট ডাকাতির ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তাকেও মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। 

১৮ আগস্ট ডিবি পুলিশের গাড়িচালক মঈনুল হোসেন ও আমজাদ হোসেন তুহিন এবং ২৩ আগস্ট মামলার বাদীর গাড়িচালক শওকত আলী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। ২২ সেপ্টেম্বর ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত এসআই ফিরোজ আলমকে গ্রেফতার করে পিবিআই। পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে মারা যান তিনি। 

গ্রেফতারকৃত ৬ পুলিশ সদস্যসহ ৭ জনের মধ্যে বর্তমানে কারাগারে আছেন ৪ পুলিশ সদস্য। এসআই মোতাহের হোসেন ও নুরুল হক এবং বাদীর ব্যবসায়িক অংশীদার সমিদুল আলম ভুট্টো উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। 

তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই’র পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান জানান, মামলার অন্যতম আসামি ফিরোজের দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুততার সহিত তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে পারব।

প্রবা/আরএম/এমজে

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা