ফরিদপুর সংবাদদাতা
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:৫৬ পিএম
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:০৭ পিএম
শনিবার ফরিদপুরে বিএনপির গণমিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। ছবি: প্রবা
সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা বাস্তবায়ন ও গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবিতে ফরিদপুরে বিএনপির গণমিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। প্রায় আধঘণ্টা রাজপথে অবস্থানের পর পুলিশের বাধার মুখে গণমিছিলটি পণ্ড হয়ে যায়।
বিএনপির গণমিছিল উপলক্ষে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই শহরের কাঠপট্টি সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হয়। এছাড়া ফরিদপুর প্রেসক্লাব, সাবেক মন্ত্রী কামাল ইউসুফের বাড়ির সামনে, কোর্ট চত্বরে ও হাসপাতালের সামনেসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়ন করা হয়।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, পুলিশের অবস্থান অতিক্রম করে তারা কাঠপট্টির কার্যালয়ে সমবেত হন। বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাব অভিমুখে গণমিছিল বের করার চেষ্টা করেন। মাত্র কয়েক কদম এগিয়ে সামনে যেতেই পুলিশ ব্যারিকেড দেয়।
এসময় সেখানেই সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করা হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, ‘সরকার পুলিশি বাধা দিয়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ ছোট ছোট আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করছে। তবে ছোট ছোট আন্দোলনে বাধা দিয়ে সরকার আন্দোলনকে দুর্বার করে তুলছে।’
বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ অভিযোগ করেন, ফরিদপুরে গণমিছিলের আগের রাতে ১০ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। মিছিলে আসার পথে নেতাকর্মীদের বাধা দেয়া হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, ‘গণমিছিল আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। যারা বাধা দিচ্ছে আমরা তাদের ধিক্কার জানাই।’
গণমিছিলের আগে শুক্রবার ফরিদপুরে বিএনপির ছয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শহরের কাঠপট্টিতে বিএনপির কার্যালয়ের নিচ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া রাতে অনেক নেতাকর্মীর বাড়িতে অভিযানের অভিযোগ উঠেছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মুরাদ হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সোহেল শেখ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য ফারুক হোসেন, আলীয়াবাদ ইউনিয়ন বিএনপির নয় নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি বাদশা মিয়া, বিএনপি কর্মী হাশেম খান ও মো. জাহিদ হোসেন।
গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট মামলার আসামি, যারা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারে কিংবা এ ব্যাপারে পূর্বের অভিযোগ রয়েছে এবং যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে এ জাতীয় কোনো অভিযোগ নেই, তাদের কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।‘