বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:৩৭ পিএম
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:৫১ পিএম
বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং করেন। ছবি : প্রবা
বগুড়ায় ফ্রি ফায়ার ভিডিও গেমসের আইডি নিয়ে দ্বন্দ্বে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকায় অভিযুক্ত বন্ধুকে মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মনিপুরীপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
নিহত স্কুলছাত্রের নাম মো. সিফাত। সে বগুড়া শহরের নূরানী মোড় এলাকার শাহ আলমের ছেলে এবং স্থানীয় একটি হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এসব তথ্য জানান।
এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকার একটি বাঁশবাগান থেকে স্কুল সিফাতের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘সিফাতের থেকে তার এক বন্ধু (শিশু হওয়ায় পুলিশ নাম প্রকাশ করেনি) কৌশলে ফ্রি ফায়ার গেমের আইডি ও পাসওয়ার্ড নিয়ে নেয়। এরপর সিফাত আইডি ও পাসওয়ার্ড ফেরত চাইলে সেই বন্ধু ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে সিফাত ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে ওই বন্ধুকে চাপ দিয়ে আইডি ও পাসওয়ার্ড ফেরত দিতে বাধ্য করে। এই ঘটনায় ওই বন্ধুর সঙ্গে সিফাতের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।’
তিনি আরও বলেন, গত ২৫ ডিসেম্বর বিকালে সিফাত তার বড় বোনের মোবাইল ফোন মেরামত করার জন্য নিজ বাসা থেকে বের হয়। পথে তার সেই বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়। সেই বন্ধু কৌশলে তার দাদার বাড়ি শিবগঞ্জের নিশ্চিন্তপুর এলাকায় বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছলে একটি বাঁশবাগানে ফ্রি ফায়ার গেমস খেলার কথা বলে দুজন আড্ডা দেয়। পরে সিফাত বাড়ি যাওয়ার কথা বললে ওই বন্ধুর আগে থেকেই কাছে থাকা চাপাতি দিয়ে পেছন থেকে সিফাতকে আঘাত করে। পরে সিফাত মাটিতে পড়ে গেলে মুখ চেপে ধরে গলা কেটে এবং বাম হাতের কবজির রগ কেটে দেয়। হত্যাকাণ্ড শেষে ওই বন্ধু ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ঢাকায় আত্মগোপন করে।
পুলিশ সুপার জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সিফাতের বন্ধু অপ্রাপ্ত বয়স্ক। এ ঘটনায় আরও তদন্ত চলছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ, মোতাহার হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার তানভীর হাসান, ডিবির ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ ও শিবগঞ্জ থানার ওসি মুনজুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।