× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

পর্যটন ঘিরে কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ দালালচক্র

কক্সবাজার অফিস

প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:০৯ এএম

আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:২০ পিএম

পর্যটন ঘিরে কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ দালালচক্র

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র শহর কক্সবাজার। যেখানে বছরজুড়ে পর্যটকরা ভ্রমণে আসেন। বিশেষ করে নানা দিবস উপলক্ষে ছুটিতে পর্যটকের স্রোত বয়ে যায়। এ সুযোগকে পুঁজি করে এখানে সৃষ্টি হয়েছে মধ্যস্বত্বভোগী সংঘবদ্ধ দালালচক্র। একই সঙ্গে নানা অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের কারণে পর্যটকদের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

কক্সবাজার আবাসিক হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানিয়েছেন, এবার ইংরেজি বর্ষবরণ ও ২০২২ সাল বিদায়কে কেন্দ্র করে তিন দিনের ছুটিতে প্রতিদিন গড়ে এক লাখের বেশি পর্যটক আসবেন বলে আশা করেছিলেন। প্রতিবছর এমন দিনে দেড় থেকে দুই লাখ করে পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসতেন। কিন্তু এবার প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার পর্যটক কক্সবাজার এসেছেন।

বৃহত্তর বিচ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান জানান, কিছুদিন আগের টানা ছুটি এবং থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে উন্মুক্ত পর্যায়ে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন না থাকায় এবার আশানুরূপ পর্যটক সমাগম হয়নি। এখানে এমন কিছু ব্যবসায়ী রয়েছেন, যারা সেবা না দিয়ে টাকা আদায়ে বিশ্বাসী। পর্যটন ব্যবসা একটি সেবামূলক ব্যবসা। এখানে সেবার মান বাড়ানো জরুরি। 

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি কক্সবাজার জেলার সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল জানান, কক্সবাজারে তাদের সমিতিভুক্ত রেস্তোরাঁর সংখ্যা ১৩৪টি। প্রতিটি রেস্তোরাঁ জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা থেকে নিবন্ধন করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের টেবিলে টেবিলে, রেস্তোরাঁর দৃশ্যমান স্থানে খাবারের মূল্যতালিকা প্রদর্শন করা আছে। কিন্তু নিবন্ধনের বাইরে কলাতলীসহ আশপাশ এলাকায় দুই শতাধিক রেস্তোরাঁ রয়েছে; যাদের কোনো বৈধতা নেই। এরা পর্যটকদের কাছে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে থাকে।

কারা এই মধ্যস্বত্বভোগী : হোটেল ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্যমতে, কলাতলী জোনে মুনিয়া নামে এক যুবকের নেতৃত্বে ‘বিজয় বাংলা গ্রুপ’ এবং হাশেম নামে অপর যুবকের নেতৃত্বে ‘বঙ্গবন্ধু গ্রুপ’ নামে দুটি সংগঠনের ব্যানারে ৬০-৭০টি টমটম পরিচালনা করা হয়। এ সংগঠনের সদস্য টমটমচালক হোটেল মোহাম্মদিয়া, লেগুনা বিচ, রিগ্যাল, ভে-ভিউ, শাহজাদী রিসোর্ট, প্যালেস, সি কক্স, কলাতলীর সি উত্তরা, হোটেল জামান, সি নাইট, কক্স ভ্যাকেশন, সি কিং, সি কক্স, টাইট ওয়াটার, ইকরা বিচ হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কমিশনভিত্তিক চুক্তি করে পর্যটক আনা-নেওয়া করে। আর হোটেল ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন। আদায় করা ভাড়া থেকে কমিশন দেওয়া হয় টমটমচালকদের। বিষয়টি নিয়ে হোটেল মালিক সমিতির সভায় আলোচনা হলেও কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর বাইরে টুর অপারেটর নামের কিছু যুবকও রয়েছেন, যারা কমিশনভিত্তিক মাঠে তৎপর থাকেন।

ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্যে, হোটেল সি নাইট, সি কিং, স্বপ্ন বিলাস, টাইট ওয়াটারের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ২০-৩০টি টমটমচালকের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণ করেন শহীদ নামে এক ব্যক্তি। এসব দালাল যাত্রীবাহী বাস কক্সবাজার শহরের কলাতলী মোড়ে এলেই যাত্রীদের ব্যাগ নিয়ে টানাটানি করতে দেখা যায়।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার শেহরিন আলম বলেন, ‘দালালের দৌরাত্ম্য কমাতে অতীতেও আমরা কাজ করেছি, এখনও পর্যটক হয়রানি বন্ধে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে পুলিশের কয়েকটি টিম মাঠপর্যায়ে কাজ করছে। কয়েকদিন আগেও বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘টমটমচালকদের হাতে পর্যটক হয়রানির বিষয়টি আমরা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। সমিতিতে বসে আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু কোনো অবস্থায়ই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এসব অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে কক্সবাজারে পর্যটন ব্যবসায়ীদের দুর্নাম হচ্ছে।’

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘অনেকে অভিযোগ করেছেন, কিন্তু কেউ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দেননি। যার কারণে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। তবে এখন কলাতলী মোড়ে একটি অভিযোগ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে বসেই পর্যটকদের সব অভিযোগ সমাধান করা হচ্ছে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা