কুমিল্লা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:২১ পিএম
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:২৪ পিএম
অলঙ্করণ প্রবা
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে চুরির অপবাদ দেওয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে গরুর খামারের এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে সন্দেহভাজন ওই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী উপজেলার দুর্গাপুর এলাকায় আক্তার হোসেনের গরুর খামারে পশের ডোবা থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের নাম মনজুরুল ইসলাম। তার বাড়ি রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামে। মনজুরুল আক্তার হোসেনের গরুর খামারে কাজ করতেন। অভিযুক্তের নাম নাহিদ মিয়া। তার বাড়িও রংপুর জেলার তারাগঞ্জ থানার উজিয়াল ডাক্তারপাড়া এলাকায়।
কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরান হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুড়িচং থানার ওসি মারুফ রহমান জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মোস্তাকিন মিয়া বুড়িচং থানায় সোমবার রাতে হত্যা মামলা করেন।গ্রেপ্তার নাহিদকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হবে।
পুলিশ সুপার কামরান জানান, সোমবার বিকালে নিহতের ভাই মোস্তাকিন মিয়া বড় ভাই মনজুরুলের নিখোঁজের ঘটনায় বুড়িচং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে প্রযুক্তির সহয়তায় সন্দেহভাজন নাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। নাহিদের স্বীকারোক্তি ও তার দেখানো ডোবা থেকে মনজুরুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ সুপার বলেন, নিহত মনজুরুল ও নাহিদ নোয়াপাড়া এলাকার আক্তার হোসেনের গরুর খামারের কর্মচারী ছিলেন। মনজুরুল এই কাজের পাশাপাশি অন্যের বাড়িতে দৈনিক মজুরিতে কৃষি কাজ করতেন। গত ১৩ জানুয়ারি রাতে মনজুরুলের পকেটে থাকা এক হাজার ৪০০ টাকা হারিয়ে যায়। মনজুরুল দাবি করে, তার টাকা নাহিদ চুরি করেছেন। এ নিয়ে দুজনের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে মনজুরুল স্থানীয়দের বিষয়টি জানিয়ে ঘুমিয়ে যান।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘নাহিদ তার স্বীকারোক্তি জানান, চুরির অপবাদ সইতে না পেরে ওই রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় মনজুরুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি গোপন রাখার জন্য মরদেহ খামারের পাশের ডোবায় ফেলে দেন।’