শ্বশুরবাড়িতে ঝুলছিল যুবকের লাশ, পরিবারের দাবি হত্যা

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিয়ের পাঁচ মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে হারুনুর রশিদ হারুন নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। 

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোররাতে উপজেলার চরবংশী গ্রামের মাইচ্ছাখালি ব্রিজ এলাকার শ্বশুরবাড়ির পাশের বাগান থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হারুনের শাশুড়ি খুকি বেগম ও স্ত্রী বৈশাখী বেগমকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। হারুনের শ্বশুর মনছুর আহমেদ ও ভায়রাভাই জুয়েল ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন। 

হারুনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার বাবা আবদুল মান্নান। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার চেয়েছেন। 

হারুন সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের নবীগঞ্জ বাজার এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে। তিনি পেশায় মাংস ব্যবসায়ী। 

হারুনের ভাই রিয়াজ হোসেন অভিযোগ করেন, ‘প্রায় ৫ মাস আগে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের চরবংশী গ্রামের মনছুর আহমেদের মেয়ে বৈশাখীর সঙ্গে হারুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এর কিছুদিন পরই জানা যায় বৈশাখীর অন্য ছেলের সঙ্গে প্রেম রয়েছে। বিয়ের পরেও তিনি প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলতেন। এ নিয়ে প্রায়ই হারুনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হতো। এসব কারণে কয়েকদিন আগে বৈশাখী তাদের বাড়িতে চলে যায়।’ 

তিনি অভিযোগ করেন, ‘গতকাল সোমবার রাতে হারুনকে তার ভায়রাভাই জুয়েল শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। রাত ৩টার দিকে খবর আসে হারুন আত্মহত্যা করেছেন। এটি আত্মহত্যা নয়। তাকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।’

হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের কপালে জখম রয়েছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানিয়েছে হারুন নিজেই বরইগাছের সঙ্গে আঘাত করে কপালে জখম করে।’ 

‘তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’