× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ঘরেই ৮৬ রোগের ‘ওষুধ’ তৈরি করেন দম্পতি, বিক্রি হয় বাজারে

ঠাকুরগাঁও প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:২৮ পিএম

বড় ওষুধ কোম্পানির পুরান বোতলে নতুন লেবেল লাগিয়ে বাজারজাত করা হয় বরিউল-রুপা দম্পতির তৈরি ওষুধ। প্রবা ফটো

বড় ওষুধ কোম্পানির পুরান বোতলে নতুন লেবেল লাগিয়ে বাজারজাত করা হয় বরিউল-রুপা দম্পতির তৈরি ওষুধ। প্রবা ফটো

কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি বা সরকারের অনুমোদন ছাড়াই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বসে ৮৬ রোগের ‘ওষুধ’ তৈরি করে তা বাজারে বিক্রি করছেন রবিউল ইসলাম ও রুপা আক্তার নামের এক দম্পতি। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ধুকুরঝারী গুয়াবাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬৯ নং ঘরে বসে তারা এ কাজ করছেন। এতে সহযোগিতা করছে চার যুবক।

স্থানীয়রা জানায়, তাদের তৈরি ওষুধ দেশের বড় বড় ওষুধ কোম্পানির পুরান বোতলে ভরে নতুন লেবেল লাগানো হয়। এরপর একটি মাইক্রোবাসে করে জেলার বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হয়।

এই দম্পতির বাড়ি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার রামপুরা সরকার পাড়ায়। এর আগে তারা ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া বাজার এলাকায় বসবাস করেছিলেন বলে জানা গেছে।

রবিউল ইসলাম। প্রবা ফটো

ওষুধ তৈরি ও বাজারজাতকরণের কথা স্বীকার করেছেন রবিউল ইসলাম। ওষুধ তৈরির কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বা সরকারের অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো অনুমোদন বা ডিগ্রি নাই। আমরা ওষুধ তৈরি করি। অন্যের ব্যবহৃত বোতল পরিস্কার করে সেই বোতলে আমাদের লেবেল লাগিয় বাজারে বাজারে বিক্রি করি। আজ পর্যন্ত কোনো খারাপ খবর আসেনি।

এসব ওষুধ তৈরিতে কী কী উপাদান ব্যবহার করা হয় জানতে চাইলে রবিউল বলেন, সেগুলো আমার স্ত্রী রুপা জানেন। সেই সব বলতে পারবেন।

তবে রবিউলের স্ত্রী রুপা আক্তার এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের অন্য ঘরে থাকা বাসিন্দা সামাদ হোসেন বলেন, প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ তাদের কাছে আছে। কিন্তু কি জন্য আসে তা জানতাম না। পরে শুনি তারা ওষুধ বানিয়ে বিক্রি করে।

মালেক হোসেন নামে আরেকজন বলেন, তার ওষুধ নিয়ে কোনো কাজ হয়নি। সে তো কোনো এমবিবিএস পাস ডাক্তারও নয়। সব ভূয়া। এইখানে কোনো প্রশাসনের লোক আসে না দেখে ঘরগুলো তারা নিয়ে থাকছে।

রবিউলের কাছে ওষুধ কিনতে আসা ইউনুস আলী বলেন, তার তৈরি ওষুধ খেলে নাকি পেটব্যথা, মাথা ব্যথা এলার্জিসহ কঠিন আরও ৮৬ রোগ ভাল হবে। এটা খাওয়ার পর ভাল তো দূরের কথা আমার সমস্যা আরও বেড়েছে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, তার যেন শাস্তি হয়।

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন নুর নেওয়াজ আহমেদ বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় দেখি গ্রামের বাজারগুলোতে ফেরি করে কিছু মানুষ ওষুধ বিক্রি করে। অল্প দাম ও অনেক রোগের কাজ করে বলে গ্রামের মানুষ তা কিনে নেয়। ওইসব ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই তৈরি। এগুলো মানবদেহে প্রয়োগের ফলে চরম ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এইসব ওষুধ প্রয়োগে মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে। এদেরকে আইনের আওতায় আনা উচিত। একই সঙ্গে খোলা বাজারে ঔষধ কেনা থেকে মানুষের সচেতন থাকা উচিত।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল কুমার বলেন, এ ধরণের অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা