সিলেট অফিস
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩৮ পিএম
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:১৬ পিএম
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সিলেট বিভাগীয় কমিটি অনির্দিষ্টকালের যে ধর্মঘট ঘোষণা করেছিল তা স্থগিত করেছে।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান ও জ্বালানি পরিবেশকদের সঙ্গে বৈঠকের পর শর্তসাপেক্ষে ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতারা।
আগামী ২২ জানুয়ারি এই ধর্মঘট হওয়ার কথা ছিল। আগামীকাল বুধবার থেকে ডিপো থেকে জ্বালানি সংগ্রহ বন্ধের সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়েছিলেন তারা।
জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হক সাংবাদিকদের বলেন, 'আন্তরিক পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কাছে আমাদের দাবি তুলে ধরেছি। তিনি সব কথা শুনে পরিবেশকদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। আগামী ২২ জানুয়ারির মধ্যে আমাদের চাহিদা অনুযায়ী তেল সরবরাহের ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন তিনি।'
বৈঠকে বাংলাদেশ পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তেল কোম্পানির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘদিনের জ্বালানি-সংকট নিরসনের দাবিতে গত শনিবার সিলেটে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সিলেটের পেট্রোল পাম্পগুলোতে জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন স্থানীয় পরিশোধনাগার বন্ধ থাকা, রেলের ওয়াগন সংকট ও শীত মৌসুমে চাহিদা বাড়ায় সম্প্রতি এই সংকট আরও বেড়েছে।
সিলেটের পরিশোধনাগারগুলো চালুর দাবি জানানো হলেও নানা অজুহাতে বন্ধ রাখা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিলেটে জ্বালানি তেল সরবরাহ ওয়াগননির্ভর হওয়ায় প্রায়ই এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়। সিলেটের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাসের সঙ্গে যে উপজাত (কনডেনসেট) পাওয়া যায়, তা আগে সিলেটের প্লান্টগুলোতেই জ্বালানি তেলে রূপান্তর করা হতো। তবে প্রায় দেড় বছর থেকে সরকারি এই প্লান্টগুলো বন্ধ থাকায় এ সংকট কাটানো যাচ্ছে না। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় সিলেটের ব্যবসায়ীদের ভৈরব থেকে নিজ খরচে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
সিলেট বিভাগের চার জেলায় ১১৪টি পেট্রোল পাম্প রয়েছে; যার মধ্যে নগরীতেই রয়েছে ৪৫টি পাম্প। ধর্মঘটের ঘোষণায় মঙ্গলবার দিনভর এসব পাম্পে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।