রংপুর অফিস
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:২০ পিএম
রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান। প্রবা ফটো
আগামী সংসদ নির্বাচনে সব ভোটারদের ভোটদান নিশ্চিতে ইভিএম মেশিনে ১০ আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। এরপরও সমস্যা হলে নির্বাচন কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা এক শতাংশ ভোটারকে ভোটদানে ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন। মঙ্গলবার রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।
এদিন সার্কিট হাউসে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি সংশোধন কর্তৃপক্ষের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণে অংশ নেন এই নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ কেন ধীরগতিতে হচ্ছে সেটি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। কুমিল্লায় ১৫ থেকে ২০টি কেন্দ্রে মক ভোটিং দেখেছি। এতে ভোট দিতে সর্বনিম্ন ৩০ সেকেন্ড এবং সর্বোচ্চ ৫১ সেকেন্ড লাগে। আমরা যদি ইভিএমের বিষয়টি ভালোভাবে ভোটাদের বোঝাতে পারি তাহলে ভোটদানে আর ধীরগতি থাকবে না।
তিনি বলেন, আমাদের ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষ হয়েছে। এর সংশোধনের যে আইনকানুন রয়েছে তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমরা একটি নিখুঁত, ভালো ও গ্রহণযোগ্য ভোটার তালিকার মাধ্যমে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে চাই।
নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে গণতন্ত্রের ভিত্তি হচ্ছে ভোট। এর মাধ্যমে ভোটাররা তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করেন। নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন আয়োজন করা। যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, বিরোধিতা থাকবে, প্রত্যেক ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। সেই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এক সময় দেশে এক কোটির ওপর ভুয়া ভোটার ছিল। এমনটা যেন না হয় সেজন্য নির্ভুল তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। পাঁচ শতাধিক ইভিএমে নির্বাচন পরিচালনা করা হয়েছে। কোথাও একটা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া কিংবা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। কারণ ইভিএমে ব্যালট নেই তাই লুটপাট করে নির্বাচন বানচাল করা, সিল মারার কোনো ব্যবস্থা নেই। এটি আমাদের সবার জন্য বিরাট প্রাপ্তি।
মো. আহসান হাবিব খান বলেন, আমাদের কাজে ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। আমরা সমালোচনায় বিশ্বাসী। জনগণের চোখই হলো আমাদের সিসি ক্যামেরা। নোয়াখালীতে নির্বাচনে একজনের ভোট অন্যজন দেওয়ার অপরাধে এক নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছি। সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে লেখা হয়েছে। অস্বচ্ছতার জন্য গাইবান্ধার নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কমিশন বদ্ধপরিকর।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, হলফনামায় প্রার্থীরা তাদের সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেন। নির্বাচনের কয়েক বছর পর প্রার্থীর সম্পদ নিয়ে নানা তথ্য আসে। এই বিষয়টি নিয়ে দুদক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও এনবিআর কাজ করবে। নির্বাচন কমিশন নয়।
নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক আব্দুল বাতেন, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিনসহ নির্বাচন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।