মাগুরা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:১২ পিএম
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৪০ পিএম
আহত স্কুলছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রবা ফটো
মাগুরায় চোর সন্দেহে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে হাতুড়িপেটার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) জেলার শালিখা উপজেলার তালখড়ি ইউনিয়নের ছান্দড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার সজিব মোল্লার বয়স ১২ বছর। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়ে। সজীব ছান্দড়া গ্রামের কোহিনুর মোল্লার ছেলে। সে একই গ্রামের চান্দড়া প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। ঘটনায় অভিযুক্ত হাসানকে আটক করেছে শালিখা থানা পুলিশ।
সজীবের চাচা জয়নুর জানান, শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়তে সজীব ছান্দড়া চৌরাস্তা জামে মসজিদে যায়। এ সময় এলাকার মুদি দোকানদার হাসান তাকে দোকানের মধ্যে নিয়ে চোর সন্দেহে হাতুড়ি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পেটান। নির্যাতনের মাধ্যমে জোর করে ভিডিও ধারণ করে চোরের স্বীকারোক্তি গ্রহণ করে। পরে শালিখা থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবশ্য এই ঘটনাকে ভুল বোঝাবুঝি বলে দাবি করেন সজীবের বাবা কোহিনুর মোল্লা। তিনি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ঘটনা নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমার ছেলেকে হাতুড়ি দিয়ে কয়েকটা বাড়ি মেরেছে ঠিকই, কিন্তু যেভাবে প্রচার হয়েছে সে রকম কিছুই হয়নি। ছেলেকে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসছি। বিষয়টি শনিবার মীমাংসা হয়ে গেছে। ঘটনা যে ঘটিয়েছে সে আমার ভাই। এটা চাচা-ভাতিজার মধ্যে হয়েছে।’
শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফাহমিদা জামান স্নিগ্ধা বলেন, ‘সজিবের অবস্থা গুরুতর নয়, তার পায়ে ও শরীরে কিছু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে ছেলের বাবা ছেলেকে নিয়ে চলে যায়।
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিশারুল ইসলাম বলেন, চোর সন্দেহে সজীব নামের ওই ছেলেকে নির্যাতন করা হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে ছেলেটিকে উদ্ধার করে শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছিল। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দোকান মালিক হাসানকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসা হওয়ায় দোকান মালিক হাসানকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’