মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:০৩ পিএম
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:০১ পিএম
গ্রেপ্তার বাবুল ও রিশাদ। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দুই স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের বিচার চাওয়ায় কৃষক আবু বকরকে পিটিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেপ্তার দুই কিশোর বাবুল ও রিশাদ।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর দত্তের কাছে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
কোর্ট পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিকী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ সংবাদ সম্মেলন করে বাবুল ও রিশাদকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, সোমবার নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার চান্দেরচর গ্রাম থেকে বাবুলকে আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থেকে রিশাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য নূরজাহান বেগম জানান, কুলিয়ারচর উপজেলার বীর কাশিমনগর ফেদাউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হাসিনা বেগম কিছু দিন আগে দুর্ঘটনায় আহত হন। মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামের বাড়িতে ওই শিক্ষিকাকে দেখতে আসে বিদ্যালয়ের চার ছাত্রছাত্রী। এ সময় রাস্তায় ওই ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে বাবুল, রিশাদ, পারভেজসহ কয়েকজন কিশোর।
তিনি জানান, তাদের উত্ত্যক্তের ঘটনাটি হাসিনা বেগমকে জানালে তিনি বিষয়টি প্রতিবেশী আবু বকরের স্ত্রী আনিছা বেগমকে বলেন। পরে আনিছা বেগম অভিযুক্ত রিশাদের বাবার কাছে নালিশ দিলে রিশাদকে শাসন করেন তার বাবা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে রিশাদ, পারভেজ, বাবুলসহ আরও কয়েকজন কিশোর আবু বকরের বাড়িতে গিয়ে আনিছা বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তখন তারা আবু বকরকে খুঁজতে থাকেন। তখনই আবু বকর বাড়িতে ঢুকে খোঁজার কারণ জানতে চাইতেই বখাটে কিশোররা আবু বকরকে মারধর শুরু করেন। এ সময় আবু বকরের ভাতিজা সজীব বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। আবু বকরকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. বায়েজিদ মিয়া ২০ জানুয়ারি বাবুল মিয়া, রিশাদ, পারভেজ মিয়া ও আলম মিয়ার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিন-চারজনের নামে মামলা করেন।