ছবিতে কেএনএফের পোশাক পরা বেনেট থাং ম্রো।
বান্দরবানের রুমায় ‘গুলিতে প্রাণ হারানো’ বেনেট থাং ম্রো দুই বছর আগে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে নিরুদ্দেশ হয়েছিলেন বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে থাং ম্রোর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। এ সময় নিহতের বাবা লিপমাং ম্রো তার ছেলের বাড়ি ছাড়ার এ তথ্য জানান। মরদেহ নিয়ে তারা বাড়ি চলে গেছেন।
রবিবার পাইন্দু ইউনিয়নের মুননুয়াম পাড়ার নিকটবর্তী বাসত্লাং পাড়া এলাকা হতে বেনেট থাং ম্রোর গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি সুয়ালুক ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড শ্যারণ পাড়ার বাসিন্দা লিপমাং ম্রোর ছেলে।
লিপমাং ম্রোর জানান, তিন ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে প্রায় এক যুগ ধরে সুয়ালক ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যারন পাড়ায় বসবাস করেন তিনি। তার আগে রুমার সুংসং পাড়ায় ছিলেন তারা। সন্তানদের মধ্যে ১৮ বছরের বেনেট থাং ম্রো ছিলেন দ্বিতীয় ছেলে। গত দুই বছর আগে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান থাং ম্রো। এরপর থেকে পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না তার।
তার ভাষ্য, ‘আমি জানতাম না ছেলে কার সঙ্গে গিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যোগ দিয়েছে। কেএনএফের ফেইসবুক পেজে তার ছবি প্রকাশ করলে জনমুখে শুনে মরদেহ দেখে ছেলেকে শনাক্ত করি।’
ছেলে এতোদিন নিখোঁজ থাকার পরও কেন জিডি করেননি জানতে চাইলে সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। তবে ছেলে নিহতের ঘটনায় মামলা করবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘বেনেটের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
রবিবার বেনেট থাং ম্রোর মরদেহ উদ্ধারের পর তিনি জানিয়েছিলনে, শনিবার মুননুয়াম পাড়ায় জঙ্গি ও কেএনএফের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কেএনএফের গোলাগুলি হয়। রবিবার ওই এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বেনেটের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মুয়ালপি পাড়ার কার্বারি (গ্রামপ্রধান) সানা অং মারমা জানিয়েছিলেন, ওই এলাকায় বসবাসকারী ৫২টি পরিবারকে পাড়া ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় কেএনএফ সদস্যরা। এতে আতংকে পাড়া ছেড়ে বিভিন্ন জঙ্গলে আশ্রয় নেন। এ ছাড়া নারী-শিশুসহ অন্তত ৪০ জন আশ্রয় নেন রুমা উপজেলা সদরে মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে।
জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যরা রোয়াংছড়ি-রুমা ও থানচি এলাকায় কেএনএফ সদস্যদের গোপন আস্তায় প্রশিক্ষণ নেওয়ার সংবাদে গত ৯ অক্টোবর থেকে ওই এলাকায় জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।
অভিযানে ২০ অক্টোবর ওই এলাকা থেকে সাত জঙ্গি ও তিনজন কেএনএফের সক্রিয় সদস্য এবং ১১ জানুয়ারি আরও পাঁচ জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি
প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু
রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯
যোগাযোগ
প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯, +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ । ই-মেইল: [email protected]
সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]
2023 Protidiner Bangladesh All Rights Reserved. Developed By Protidiner Bangladesh Team.