নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৩৭ পিএম
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:২৪ পিএম
সোনাইমুড়ীতে গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের আয়োজনে মহাত্মা গান্ধীর ৭৫তম মহাপ্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন প্রণয় কুমার ভার্মা। প্রবা ফটো
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেছেন,
শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে নোয়াখালীতে এসেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। এখানকার অনেক গ্রাম ঘুরেছেন,
মানুষের মাঝে অহিংস নীতি প্রচার করে গেছেন। বর্তমান বিশ্বে শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
প্রতিষ্ঠায় মহাত্মা গান্ধীর এই অহিংস নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গান্ধী আশ্রম
ট্রাস্টের আয়োজনে মহাত্মা গান্ধীর ৭৫তম মহাপ্রয়াণ বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির
বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রণয় ভার্মা বলেন, হিন্দু-মুসলিমের রক্ত এক ও অভিন্ন'
এই বাণী তিনি (মহাত্মা গান্ধী) প্রচার করে গেছেন।
এ দিন সকালে গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্যে
পুষ্পমাল্য অর্পণ, প্রদীপ প্রজ্জ্বালন এবং সর্বধর্মীয় প্রার্থনা করা হয়। এরপর সাংস্কৃতিক
পরিবেশনায় অংশ নেন গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের শিল্পীরা।
গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রাহা নব কুমারের সঞ্চালনায়
ও ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) জীবন কানাই দাসের সভাপতিত্বে আলোচনা
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি (অব.) এএইচএম
শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, নোয়াখালী-০১ আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম, জেলা প্রশাসক
দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী
মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
ব্রিটিশ শাসনামলের শেষের দিকে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানের মতো নোয়াখালীতেও
হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। সেই দুঃসময়ে শান্তি বার্তা নিয়ে নোয়াখালী ছুটে আসেন
মহাত্মা গান্ধী।
১৯৪৬ সালের ৭ নভেম্বর থেকে ১৯৪৭ সালের ২ মার্চ পর্যন্ত নোয়াখালীতে
ছিলেন মহাত্মা গান্ধী। তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন,
হিন্দু-মুসলিম ভ্রাতৃত্ব স্থাপনসহ সেবামূলক বিভিন্ন কাজ করেছিলেন। তিনি ২৯ জানুয়ারি
সোনাইমুড়ির জয়াগ গ্রামে গিয়েছিলেন।
১৯৭৫ সালে ‘গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট’ অর্ডিন্যান্স
গঠনের মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে গান্ধীর জীবনদর্শন ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সেবামূলক
কাজ শুরু করা হয়।
১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীকে গুলি
করে হত্যা করা হয়। সে সময় তিনি নয়াদিল্লির বিরলা ভবন রাত্রিকালীন পথসভা করছিলেন।
তার হত্যাকারী নাথুরাম গডসে হিন্দু মৌলবাদী, যার সঙ্গে চরমপন্থি সংগঠন ‘হিন্দু মহাসভার’ যোগাযোগ ছিল।