× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

দুদকের মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তাসহ দুজনের কারাদণ্ড

চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৫২ পিএম

আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:২১ পিএম

চট্টগ্রাম আদালত ভবন। ফাইল ফটো

চট্টগ্রাম আদালত ভবন। ফাইল ফটো

৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রামের ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) সাবেক কর্মকর্তা মো. ইফতেখারুল কবির ও তার সহযোগী মাহমুদুল হাসানকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে মো. ইফতেখারুল কবিরকে ২৬ বছর ও মাহমুদুল হাসানকে ১৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়। 

এছাড়াও ইফতেখারুল কবিরকে ১ কোটি ৪ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। আর মাহমুদুল হাসানকে ১৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ডসহ ৭৬ লাখ ৩০ হাজার জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও ১ বছর ৪ মাস কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আব্দুল মজিদ এই রায় দেন। 

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ‘দুই আসামিই রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

মো. ইফতেখারুল কবির ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ওআর নিজাম রোড শাখার ব্যাংকিং প্রায়োরিটি ম্যানেজার ও মাহমুদুল হাসান চট্টগ্রামের খুলশী থানার ৩ নম্বর লেনের  নিশাত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে।

অভিযোগের বরাতে আইনজীবী মাহমুদুল হক জানান, ২০১৪ সালের ৩ জুলাই  ইবিএলে যোগদান করেন ইফতেখারুল কবির। পরে ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামের ওআর নিজাম রোড শাখায় বদলি হন। এরপর টাকা আত্মসাতের উদ্দেশে বিভিন্ন গ্রাহকের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করেন। ওই শাখায় রূপন কিশোর বড়ুয়া নামে এক গ্রাহকের একটি যৌথ অ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ টাকা ছিল। ২০১৯ সালের ১৩ মার্চে রূপন কিশোর ব্যাংকে হাজির হলে টাকাগুলো এফডিআর করতে বলেন ইফতেখারুল কবির। এরপর এফডিআর খোলা হয়েছে জানিয়ে ভুক্তভোগীকে জাল কাগজ ধরিয়ে দেন। পাশাপাশি কৌশলে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ফান্ড ট্রান্সফারের কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে নেন। এরপর এসব টাকা নিশাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মাহমুদুল হাসানের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়।

তিনি জানান, ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এর উপসহকারী পরিচালক বর্তমানে সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪২০,৪০৯, ৪৬৭,৪৬৮, ৪৭১,৪৭৭ (ক) ও ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২-এর সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ তদন্ত ও মামলার চার্জশিট দেওয়ার পর আদালত এই রায় দেন।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা