খাদ্যে বিষক্রিয়ায় দুই বোনের মৃত্যু, দোকানীসহ গ্রেপ্তার চার

গাজীপুরে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় দুই বোনের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় দোকানীসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার সালনা ইপসা গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে ওই শিশুদের বাবা আশরাফুল ইসলাম গতকাল দুপুরে দোকানীসহ চার জনের বিরুদ্ধে গাজীপুর সদর থানায় মামলা করেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- গাজীপুর সদর থানার দক্ষিণ সালনা এলাকার দোকানী মো. সাইফুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার মো. সোহেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার কোনাউর এলাকার শহিদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হোসেন। তাদের মধ্যে দোকানী সাইফুল ইসলাম ও অন্যরা সালনা এলাকার বেকারির কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মৃত শিশুরা হলো- শেরপুরের বাসিন্দা আশরাফুলের ছয় বছর বয়সী কন্যা আশামনি ও দুই বছর বয়সী আলিফা। আশরাফুল স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সালনার ইপসা গেট এলাকায় ভাড়াবাড়িতে বসবাস করতেন।

মামলার এজহারের বরাতে ওসি জানান, গত রবিবার সকালে বাড়ির পাশের একটি দোকান থেকে ওই শিশুদের বাবা আশরাফুল দুই মেয়ে ও এক আত্মীয়ের ছেলেকে প্যাটিস ও কেক কিনে দেন। ওই কেক ও প্যাটিস খেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে দুই মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। দ্রুত তাদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। একই সময় অন্য শিশু সিয়াম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান শাফি মোহাইমেন বলেন, নিহত দুই শিশুর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে তাদের মৃত্যু খাদ্যে বিষক্রিয়ায় হয়েছে। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে খাদ্যে বিষ কোথা থেকে আসতে পারে।

নিহত শিশুদের মা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে মুঠোফোনে বলেন, ‘আমরা বিকাল ৩টায় হাসপাতাল থেকে মৃত সন্তানদের বের করি। এখন আমরা গ্রামের বাড়ি চলে এসেছি। এখানেই আমার মেয়েদের দাফন হবে। তার বাবার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে বলেন, সে অসুস্থ কথা বলতে পারবে না।’

ওসি আরও বলেন, নিহত শিশুদের বাবা মামলা করলে সালনা এলকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।