বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খোকনের কুশপুত্তলিকা পোড়াল ছাত্রদল

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও দলের নরসিংদী জেলার আহ্বায়ক খায়রুল কবীর খোকনের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছে জেলা ছাত্রদল নেতাকর্মীদের একাংশ। তাছাড়া তার বাসভবন ও জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে তারা।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে নরসিংদী সদর উপহজেলার চিনিশপুর এলাকায় খোকনের বাসভবন ও জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জানান, নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণার পর গত বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে কমিটি থেকে বাদ পড়া ছাত্রদল নেতাদের একাংশ মশাল মিছিল নিয়ে গিয়ে খোকনের বাসভবন ও জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে যায়। তারা খোকনের বাসভবন ও জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের গেইট ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ। পরে বাসভবনের নীচতলার জানালার গ্লাস ভেঙে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়।

অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর সোমবার বিকালে খায়রুল কবীর খোকন তার বাসভবনে আসার খবর পেয়ে সেখানে লাঠিসোটাসহ বিক্ষোভ করেন ছাত্রদলের পদবঞ্চিতরা। পরে তারা খোকনের কুশপুত্তলিকা পোড়ান। এ সময় ছাত্রদলের পদবঞ্চিতরা খায়রুল কবীর খোকন ও তার স্ত্রী শিরিন সুলতানার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে কমিটি দেওয়ার অভিযোগ তুলে স্লোগান দেন।

খোকনের অভিযোগ, ঘটনার সময় নিজ বাসায় প্রবেশ করতে গেলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তিনি। কিছুক্ষণ পর বাসায় প্রবেশ করলেও পরে ঢাকায় ফেরেন তিনি।

এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে খায়রুল কবির খোকন বলেন, ‘জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় ও আমার বাসভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ মামলা না নিয়ে উল্টো অপরাধীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। আমাকে আমার বাসভবনে প্রবেশ করতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ।’

সদ্য ঘোষিত ছাত্র দলের কমিটিকে কেন্দ্র করে এই ঘটনাটি ঘটেছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছাত্রদলের কমিটি গঠনের দায়িত্ব বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতে। এতে আমার কোনো ভুমিকা নেই।’

বিএনপি নেতা খোকন বলেন, ‘যাদেরকে কেন্দ্র ভালো মনে করেছে, তাদেরকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। অথচ ছাত্রদলের পদ বঞ্চিতদের একাংশ আমার বাসায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে।’

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মী ও পদবঞ্চিত ছাত্রদলের একাংশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে খায়রুল কবীর খোকনকে বাসভবনে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়নি। এছাড়া বাসভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’