ছুটির দিনে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল

স্বাভাবিক নিয়মে মাঘ মাসের শেষে খুব বেশি শীত হওয়ার কথা থাকলেও কক্সবাজারের পরিবেশ উল্টো। সমুদ্রতীরবর্তী জেলাটির আবহাওয়া এখন নাতিশীতোষ্ণ। এমন আবহাওয়ায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনকে কেন্দ্র করে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত মুখরিত পর্যটকে। পরিবার-পরিজন সঙ্গে নিয়ে আসা পর্যটকরা মেতেছেন আনন্দ-উচ্ছ্বাসে। 

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী, সি গাল, সুগন্ধা থেকে কলাতলী পয়েন্ট দেড় কিলোমিটার পর্যটকে মুখরিত। তারা দল বেঁধে সাগরের নীল জলরাশি সৈকতের বুকে আছড়ে পড়া ঢেউয়ে শরীর ভিজিয়ে মেতেছেন উচ্ছ্বাসে। সৈকতের কিটকটে (বিচ ছাতা) বসে অনেকেই উপভোগ করছেন সাগরের বিশালতা। আবার অনেকেই সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘোরাঘুরি, ঘোড়ার পিঠে চড়ে ছবি তুলে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

সৈকতে ভ্রমণে আসা বিপুলসংখ্যক পর্যটকের গল্প অনেকটাই একই। তারা বলছেন, সাপ্তাহিক ছুটিতে যান্ত্রিক জীবনের ব্যস্ততা শেষে অবকাশ যাপন, সঙ্গে সাগরের বিশালতা উপভোগ।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আনারুজ্জামান পরিবার নিয়ে সৈকতের বালিয়াড়িতে খেলায় মেতেছেন। তিনি বলেন, ‘কর্মব্যস্ত জীবনে পরিবারের সদস্যদের তেমন একটা সময় দেওয়া হয় না। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে তাদের সময় দিতে ছুটে আসা সাগরতীরে। কক্সবাজারের আবহাওয়া ও পরিবেশ এখন ভ্রমণ উপযোগী।’ 

সোহাগ নামের অপর এক পর্যটক জানান, কক্সবাজারের সমুদ্র দেখলেই মনের সকল গ্লানি ভুলে সজীবতা ফিরে পাওয়া যায়। এখানে বারবার আসতে মন চায়।

কক্সবাজারে পর্যটকদের রাত্রি যাপনে পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস রয়েছে। প্রতিদিন রাত্রি যাপন করতে পারে লাখের বেশি মানুষ। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজারে লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন বলে জানিয়েছেন হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার। তিনি জানান, শীত মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকে মুখরিত সাগরতীর। 

সৈকতের লাবণী পয়েন্টে দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশের উপপরিদর্শক মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, কক্সবাজারে এখন লাখের বেশি পর্যটক। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলোয় তৎপর রয়েছেন তাদের সদস্যরা। পর্যটকরা দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক সৈকতে ঘুরছেন। একই সঙ্গে কমপক্ষে চার হাজার পর্যটক শুক্রবার সকালে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে গেছেন।