বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:৪৭ পিএম
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার শিকারপুর গ্রামে খাল ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তির দাবি, তিনি তার নিজের জায়গা বুঝে নেওয়ার পর ভরাট করেছেন। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, তাকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের নিমসার-কংশনগর সড়কের পাশে শিকারপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার জসিম উদ্দিনের বাড়ির সামনে দিয়ে প্রবাহিত জৈন্তার খাল। প্রায় ‘দুই শ বছর’ পুরানো এই খাল দিয়ে ময়নামতি ও মোকাম ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামের বর্ষার পানি নামে। খালের পানি সেচ কাজে ব্যবহার করেন গ্রামের কৃষকরা। কিন্তু খালটি ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে যাওয়ায় কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম জানান, এই খালটি দিয়ে এলাকার লোকজন নৌকায় করে কৃষিপণ্য বিভিন্ন হাট বাজারে নিয়ে বেচা-কেনা করত স্বাধীনতার সময় পর্যন্ত। খালটি গভীর ছিল। ফলে নৌকা দ্রুত চলত এবং বৃষ্টির পানি এ খাল দিয়ে সরে যেত। তবে স্থানীয় কিছু লোক খালটির বিভিন্ন স্থান ধীরে ধীরে ভরাট করে বাড়িঘসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এতে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘খালটি ভূমি দূস্যদের হাত থেকে রক্ষা করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা প্রয়োজন। পাশাপাশি খাল দখলকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
তার অভিযোগ, শিকারপুর গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে পশুচিকিৎসক মো. সজিব ওরফে সৈকত দীর্ঘদিন ধরে এলাকার পুরানো খালটি অবৈধভাবে ভরাট করছে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সজিব বলেন, ‘যেটুকু জায়গা দখল হয়েছে তা দুই এক ফুট হতে পারে। ভেকু দিয়ে কাটার পর এমন হয়েছে। যদি খালটি দখল হয়ে থাকে তাহলে আমি সরকারি আমিন দিয়ে জায়গায়টি মাপ দেব। আমাকে একা দোষ দিয়ে লাভ নাই।
এ ব্যপারে মোকাম ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশীলদার) মো. মোর্শেদ আলম বলেন, ‘আমি মাটি উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছি।ওই চিকিৎসক কিছু অংশে বস্তা ফেলে দখল করেছে। তাকে দখল মুক্ত করতে বলা হয়েছে। সে ১৫ দিনের সময় চেয়েছে।’
বুড়িচং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি মোকাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেব আলী আমাকে জানান। যদি কাজ বন্ধ না করে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’