নেত্রকোণা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৩৭ পিএম
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:১৭ পিএম
ফাইল ফটো
ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার ১৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই কোনো শহীদ মিনার। এসব বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারির দিন কলাগাছ ও বাঁশ-কাঠ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে ভাষার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছে।
শহীদ মিনার নেই এমন একটি বিদ্যালয় হলো উপজেলার গণ্ডা ইউনিয়নের শিবপুর হোসনে আরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফা আক্তারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে আগে শহীদ মিনার ছিল। কিন্তু নতুন ভবন হওয়ায় শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখন কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার বানিয়ে সেখানে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো ছাড়া উপায় নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘চাইলেই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছোট আকারের শহীদ মিনার নির্মাণ করা যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এর জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। স্থায়ীভাবে শহীদ মিনার করতে গত বছর সরকার থেকে একটা নির্দেশনা এসেছে। কিন্তু আমার বিদ্যালয়ে এখনও শহীদ মিনার হচ্ছে না।’
উপজেলা সদরের বাসিন্দা সংস্কৃতিকর্মী কবি মনিরুজ্জামানা রাফি বলেন, ভাষা আন্দোলনের প্রায় ৭০ বছরেও উপজেলার ১৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি। এটা সত্যিই পরিতাপের বিষয়। যদিও স্কুল পরিচালনা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় বেশ কয়েকটি স্কুলে শহীদ মিনার নির্মাণ হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলায় মোট ১৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ১৮টি বিদ্যালয়ে কোনো শহীদ মিনার নেই। শহীদ মিনারহীন কয়েকটি বিদ্যালয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত। সেগুলো শহীদ মিনার না হলেও চলে। এ ছাড়া অন্যগুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। এ বিষয়ে জেলা ও উপজেলার শিক্ষা কমিটির মিটিংয়েও দাবি জানিয়েছি।
স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী জালাল বলেন, ১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে শহীদ মিনার নেই, এ বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। তবে দ্রুত এসব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য আমার পক্ষ থেকে সহযোগিতা থাকবে।