নুপা আলম, কক্সবাজার
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:৪৪ পিএম
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:০৫ পিএম
পর্যটকের ভিড়ে মুখরিত পুরো কক্সবাজার সৈকত। প্রবা ফটো
পর্যটকের ভিড়ে মুখরিত পুরো সৈকত। কেউ যেন ইচ্ছের ডানায় ভর দিয়ে স্বচ্ছ জলরাশির ঢেউয়ের খেলায় উদ্ভাসিত। আর কেউ বালিয়াড়ির সঙ্গে পায়ের খেলায় মগ্ন। আবার অনেকেই ছুটছেন ঘোড়ার পিঠে, ছাতায় বসে সাগর উপভোগের মগ্নতায়।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়িারি) সকাল থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের কলাতলী, সুগন্ধা, লাবণী পয়েন্ট ঘিরে দেখা মেলে এমন দৃশ্যের। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ছুটি কাটাতে এসেছেন তারা।
সব মানুষের গল্পই অভিন্ন এক আকাশে মেঘমালার মতো মিশে গেছে। যান্ত্রিক কোলাহলের শহর এড়িয়ে প্রশান্তির সন্ধানে যেন ব্যস্ত হয়ে গেছেন সবাই। প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে চায় বারবার।
ঢাকার বেসরকারি চাকরিজীবী তরুণ রফিকুল হুদা জানালেন, কেবল এক দিনের ছুটি হাতে। কর্মব্যস্ত যান্ত্রিকতা ভুলে সাগর উপভোগে ছুটে আসা। এসেই শান্তিতে মন ভরে উঠেছে।
চট্টগ্রাম শহরে কর্মরত দিনাজপুরের মোহেনা রেজাকে কক্সবাজারের পাহাড় সাগর বারবার টানে। এবার এসেছেন সপরিবারে।
তিনি বলেন, ‘যদিও ছুটি কম। অফিস থেকে অতিরিক্ত ২ দিনের ছুটি নিয়ে আসা। মনকে ভালো রাখতে সমুদ্রের চেয়ে ভালো কোনো উপাদান হতে পারে না।’
পর্যটক বাড়লে ব্যবসা হয়, আয় বাড়ে। তাই খুশি ব্যবসায়ীরাও। তারা বলছেন, পর্যটকরা যেন বারবার ছুটে আসে এই সৈকতে।
হোটেল দি কক্স টুডের জেনারেল ম্যানেজার আবু তালেব জানান, ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটক আসবে এটা স্বাভাবিক। পর্যটক আসলে ব্যস্ততাও বাড়ে। ব্যবসাও হয়। বছরজুড়ে যেন পর্যটকরা ভ্রমণে আসেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন তিনি।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ছুটিতে কক্সবাজারে এখন দেড় লাখের অধিক পর্যটক এসেছে। যারা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণ উপভোগ করছেন নিজের মতো। পর্যটকদের সার্বিক সেবা ও নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।