দিনাজপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:৩৯ পিএম
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:২৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে দিনাজপুরের হিলির শূন্যরেখায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দুই বাংলার ভাষাপ্রেমীদের সম্প্রীতির মিলনমেলা।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় (মুক্তিযোদ্ধা স্কয়ার) অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান দুই বাংলার ভাষাপ্রেমীরা।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পৌরসভা ও সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত এবং ভারতের বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটি ও বালুরঘাট-মেঘালয় করিডোর কমিটি, রেইনবো সোসাইটি যৌথভাবে এ মিলনমেলার আয়োজন করে।
শ্রদ্ধা জানানো শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত। পরে দুদেশের শিল্পীরা কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করে। নৃত্য পরিবেশন করেন বালুরঘাট রেইনবো সোসাইটির কর্ণধার শুভঙ্কর সাহেব রায় ও সদস্য অন্যন্যা পাহান।
বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্তাহিক উত্তরে রোববার পত্রিকার প্রকাশক সুরজ দাস বলেন, ‘অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে হিলি শূন্যরেখায় দুদেশ মিলে আয়োজন হলো। এখনও অনেক মানুষ মুখোশ পরে আছে। আমাদের আরও সোচ্চার হতে হবে।’
রেইনবো কালচারাল একাডেমির কর্ণধার শুভঙ্কর সাহেব রায় বলেন, ‘খুব ইচ্ছে ছিল বাংলাদেশ এসে ভাষা উদযাপন করব। আজ আমি সার্থক। সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে মাতৃভাষাকে বুকে লালন করতে পারছি। সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত পত্রিকার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ’দুই বাংলার ভাষার সংস্কৃতি এক। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দুদেশের ভাষার বন্ধন থেকে আমাদের কেউ ছিন্ন করতে পারবে না। তাই প্রতিবছরের মতো এবারও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার ঐতিহ্য ও সম্প্রীতির বার্তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হিলি সীমান্তে এ আয়োজন হয়েছে।’
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী বলেন, ‘সকালে অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এরপর ছোট পরিসরে আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি, ছড়া, গল্প অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শেষ হলো। খুবই আনন্দ লাগছে।'
অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক-সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।