লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৪২ এএম
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে কিশোর রাসেল হোসেন হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা বিএম শাহজালাল রাহুলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রাহুলসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের মিয়ারহাট বাজারে পেটে ছুরিকাঘাত করেন অভিযুক্তরা। এতে মিয়ারহাট এলাকায় দুই ঘণ্টাব্যাপী দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে রাহুলসহ ৫ জনকে আটক করে।
সন্ধ্যায় রায়পুর থানা-পুলিশ উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের মিয়ারহাট বাজারে থাকা রাহুলের আস্তানা থেকে তিনটি ধারালো ছোরা, একটি রামদা, একটি চাপাতি, তিনটি চাকু এবং তিনটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করে।
রাতে নিহত রাসেলের মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় আটকদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। নিহত রাসেল মিয়ারহাট এলাকার মনির হোসেন ভুট্টুর ছেলে।
গ্রেপ্তার রাহুল উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- সদর উপজেলার পূর্ব নন্দনপুর গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে সোহাগ, রায়পুরের চরলক্ষ্মী গ্রামের মৃত ইউসুফ কারীর ছেলে ফারুক কারী ও চরকাছিয়া গ্রামের মানিক শিকদারের ছেলে সুমন শিকদার। তারা রাহুলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এজাহারে নিহতের মা ফাতেমা বেগম উল্লেখ করেন, তার স্বামী মনির চরের জমিতে ফসল চাষাবাদ করেন। তবে সেই জমির ফলন জোরপূর্বক কেটে নেন আওয়ামী লীগ নেতা রাহুল। তার স্বামী প্রতিবাদ করলে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। বুধবার সকালে রাসেল চাষাবাদকৃত সেই জমি দেখাশোনা করতে বাড়ি থেকে বের হন। পথে মাছঘাটে পৌঁছালে রাহুল তার লোকজন নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাসেল ও তার বাবা মনির হোসেনের উপর হামলা করেন।
হামলাকারীরা রাসেলের পেটে ধারালো চাকু ঢুকিয়ে দিলে তিনি গুরুতর জখম হন। স্থানীয় লোকজন রাসেলকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।