বরগুনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:১৬ পিএম
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৩১ পিএম
প্রতীকী ছবি
বরগুনার তালতলীতে এক তরুণীকে গৃহপরিচারিকার কাজ দেওয়ার কথা বলে যৌনকর্মে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ওই তরুণীকে ১২ দিন পর বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্বজনরা।
ওই তরুণীর পরিবার জানায়, ১০ ফেব্রুয়ারি গৃহপরিচারিকার কাজ দেওয়ার কথা বলে ওই তরুণীকে বরিশাল নিয়ে যায় একই উপজেলার হুলাটানা গ্রামের বকুল মুন্সি ও তার মেয়ে মানসুরা। রাত ৯টার দিকে তারা তরণীকে একটি বাসায় রেখে চলে আসে। সেখানে তাকে যৌনকর্মে বাধ্য করা হয়। নির্যাতন সইতে না পেরে তরুণী বাড়ি আসার জন্য কান্নাকাটি করতে থাকে। পরে বুধবার সন্ধ্যায় তরুণীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখেন বকুল মুন্সী। সেখানে কান্নার শব্দ পেয়ে আশপাশ লোকজন তরুণীর স্বজনদের খবর দেন। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্বজনরা।
তরুণীর মা বলেন, ‘স্বামীর মৃত্যুর পর মেয়েকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ি। বকুল মুন্সি ও তার মেয়ে গৃহপরিচারিকার কাজ দেওয়ার কথা বলে আমার মেয়েকে বরিশাল নিয়ে যায়। যাওয়ার পর থেকে তার কোনো খোঁজ খবর ছিল না। তারা আমাকে মেয়ের সঙ্গে কোনো কথা বলতেও দেয়নি। আমার মেয়েকে দিয়ে খারাপ কাজ করিয়েছে। আমি বিচার চাই।’
তালতলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তরুণী বলেন, ‘বকুল মুন্সি ও তার মেয়ে মানসুরা আমাকে বরিশাল নিয়ে যায়। ওই রাতে আমাকে একটি বাসায় দিয়ে আসে। সে বাসায় বিভিন্ন লোকজন এসে আমাকে যৌনকর্মে বাধ্য করতো।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বকুল মুন্সী বলেন, ‘অভিযোগ সত্য না। মূলত আমার মেয়ের সঙ্গে ওই তরুণীর একটু ঝামেলা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য কিছু হয়নি।’
তালতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল কাফি বলেন, তরুণীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরগুনা হাসপাতালে পাঠানো হবে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।