নাটোর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:৪৩ পিএম
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:০৪ পিএম
সাকিবুল ইসলাম সোহাগ। ছবি সংগৃহীত
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় ভাবির বিরুদ্ধে দেবরকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভাবিকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। শুক্রবার সকালে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন।
২৮ বছর বয়সি মৃত সাকিবুল ইসলাম সোহাগ বাগাতিপাড়া পাকা ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকে আনসার সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সোহাগ নামের ওই যুবক কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ছেলে বাড়ি ফেরার সংবাদে পরিবারের অন্য সদস্যরা অপেক্ষা করছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাশের বাড়ি থেকে চিৎকারের শব্দ শুনে বাড়ির সদস্যরা ছুটে গেলে সোহাগকে বিবস্ত্র অবস্থায় বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখে। তাকে দ্রুত বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ আরও জানায়, সোহাগের সঙ্গে ওই নারীর দুই থেকে তিন বছরের পরকীয়া সর্ম্পক ছিল। ওই মেয়ে সর্ম্পকে তার চাচাত ভাইয়ের স্ত্রী। তার স্বামী ছয় বছর আগে মারা গেলে তারা বিয়েবহির্ভূত সর্ম্পক গড়ে তোলেন। এই সর্ম্পকের কারণে সোহাগ তার স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন। তাদের নিয়ে পারিবারিকভাবে বসেও সমাধান করা যায়নি। পরিবারের দাবি, সোহাগের অণ্ডকোষ চেপে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রাজ্জাক জানান, রাতে মেডিকেলে নিয়ে আসা সোহাগ নামের ওই যুবক হাসাপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন। হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি ধারণা করছেন।
ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যুবককে হত্যা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লাবণীকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’