মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৫০ পিএম
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩০ পিএম
মোরেলগঞ্জে কাঠের সেতু ভেঙে পড়েছে খালে। প্রবা ফটো
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দাউরা চন্ডিপুর সংযোগ খালের কাঠের সেতু ভেঙে দুই মাস ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ১০ গ্রাম। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষ।
চিংড়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান আলী আক্কাস বুলু শুক্রবার সকালে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ’মোরেলগঞ্জ ও ইন্দুরকানি এ দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী চিংড়াখালী ইউনিয়নের দাউরা চন্ডিপুর সংযোগ খালে ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে এডিপির বরাদ্দ ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে কাঠের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণের এক বছরের মাথায় ভেঙে পড়ে। সে সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় কাঠ দিয়ে চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়।
জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন ১০টি গ্রাম ও সীমান্তবর্তী ইন্দুরকানি শহরের ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ চলাচল করেন। এ সংযোগ সেতুর দুপ্রান্তে রয়েছে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি এবতেদায়ি মাদ্রাসা, একটি দাখিল মাদ্রাসা, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চিংড়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক, ১০টি মসজিদ ও সাপ্তাহিক পাঁচটি বাজার।
স্থানীয় মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘প্রতিদিন কষ্ট করে সেতুটি পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। বৃদ্ধদের নৌকায় করে পার করতে হয়। কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়লে পাশেই ইন্দুরকানি বাজারে চিকিৎসা করাতেও হিমশিম খেতে হয় তাদের। এ দুর্ভোগ কবে শেষ হবে?’
চিংড়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলী আক্কাস বুলু বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের বরাদ্দের নির্মাণাধীন সেতুটি করা হয়েছিল। এ সেতু দিয়ে প্রতিনিয়ত ১০ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। দুই মাস আগে সেতুটি ভেঙে পড়ে। একাধিকবার সেতুটি মেরামত করা হয়েছিল। এখন আবার দুর্ভোগে পড়েছে জনসাধারণ। এখানে একটি ব্রিজ দরকার।’
উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহ-ই আলম বাচ্চু বলেন, ‘চন্ডিপুর খালে সেতুটি একবার উপজেলা পরিষদের এডিপির বরাদ্দের মাধ্যমে নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে জাহাজের ধাক্কায় ভেঙে যায়। এ খবর শুনে নির্বাহী কর্মকর্তা, ভাইস চেয়ারম্যানসহ আমি সরেজমিনে গিয়েছিলাম। এই সেতুর জন্য নতুন করে আর কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।’