বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:১৭ পিএম
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:৪৩ পিএম
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের অডিটোরিয়ামে ছেলের বউভাতের আয়োজন করেছেন এক শিক্ষক। প্রবা ফটো
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের অডিটোরিয়ামে ছেলের বউভাতের আয়োজন করেছেন এক শিক্ষক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত আয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সচেতনদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে কলেজে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ও গণিত বিষয়ের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মাহতাব হোসেন মণ্ডল তার বড় ছেলের বিয়ের বউভাতের আয়োজন করেছেন। এতে তিনি কলেজের পুরো অডিটোরিয়াম ব্যবহার করছেন। সেখানে প্রায় ৮০০ অতিথির বসার ব্যবস্থা করেছেন। আর মূল মঞ্চ রিসিপশনের জন্য সাজানো হয়েছে। অডিটোরিয়ামের পাশেই স্কাউট ভবন ঘেঁষে ব্যবস্থা করা হয়েছে রান্নার। যেখানে কাজ করছেন কলেজের অধিকাংশ কর্মচারী। এ ছাড়া খাবার পরিবেশনসহ অন্যান্য কাজে কলেজের বিএনসিসি ও স্কাউট সদস্যদের কাজ করতে দেখা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনসিসির এক সদস্য বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে সিভিল পোশাকে স্যারের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে কাজ করছি। স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ীই আমরা এসেছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের এক শিক্ষক বলেন, ’কলেজে শিক্ষকের ছেলের বিয়ের আয়োজন এই প্রথম দেখছেন। এভাবে ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান যদি কলেজে করা শুরু হয়, তাহলে আর সেখানে কিছু বলার থাকে না। তার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও এমন কাজ কেন করলেন, তা তাদের মাথায় আসছে না।’
শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মাহতাব হোসেন মণ্ডল বলেন, ‘আমি একটা বিপদে পড়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর আগেও এক অধ্যক্ষের মেয়ের বিয়ে এখানে হয়েছে। তবে আমি অধ্যক্ষ স্যারের অনুমতি এবং রাজস্ব খাতে ১২ হাজার টাকা জমা দিয়েই কলেজে আয়োজন করেছি।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত আয়োজন করার বিধান আছে কি না, এমন প্রশ্ন করলে শিক্ষক পরিষদের এই নেতা জবাব না দিয়ে এড়িয়ে যান।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহজাহান আলী বলেন, ওই শিক্ষকের ছেলের বউভাতের আয়োজন শহরের আরেকটি জায়গায় করার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে কোনো কারণে করতে না পারায় তার কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়। তিনি বিধি মেনে সহযোগিতা করেছেন।
এ বিষয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘সরকারি কলেজে কেউ ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান করতে পারে না। এটা অন্যায়। জেলা প্রশাসনের সমন্বয় সভায় আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষের কাছে এ ব্যাপারে কারণ জানতে চাওয়া হবে।’