নরসিংদী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:৫১ পিএম
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:০৫ পিএম
শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান। সংগৃহীত
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ খানকে বাসায় ঢুকে গুলির ঘটনায় মামলা হয়েছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে চেয়ারম্যানের ছেলে আমিনুর রশিদ খান পুটিয়া কামারগাঁও এলাকার আরিফ সরকারকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ ও ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে শিবপুর মডেল থানায় এ মামলা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার।
মামলার অন্য আসামিরা
হলেন, পূর্ব সৈয়দনগর এলাকার মহসিন মিয়া, পুটিয়া কামারগাঁও এলাকার ইরান মোল্লা, মুনসেফেরচর
এলাকার শাকিল, কামারগাঁও এলাকার হুমায়ূন ও নরসিংদী সদর থানার ভেলানগর এলাকার নূর মোহাম্মদ।
মামলায় বলা হয়েছে, হারুনুর
রশিদ খানকে গুলির ঘটনার আগের দিন শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত অনুমান ৯-১০টার মধ্যে
মামলার প্রধান আসামি আরিফ সরকার উপজেলা চেয়ারম্যানকে ফোন করে বলেন, আগামীকাল সকালে
আমার লোকজন আপনার নিকট মসজিদের অনুদানের জন্য আসবে। পরে আসামিরা অনুদান নিতে এসেছেন
জানিয়ে ফোন করে চেয়ারম্যানকে দরজা খুলতে বলেন। পরে তারা চেয়ারম্যানের বাসায় ঢুকেন।
এ সময় চেয়ারম্যান তাদের বসতে বলে আপ্যায়নের জন্য বাসার ফ্রিজের দিকে ঘুরলে পেছন থেকে
তিনজন গুলি করে। এতে চেয়ারম্যান পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়লে আসামিরা মোটরসাইকেলে
পালিয়ে যায়।
ওসি ফিরোজ তালুকদার
বলেন, ‘এই মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা
হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া
হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ রয়েছে। দ্রুতই গুলির
প্রকৃত কারণ জানা ও জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানকে
গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তৃতীয় দিনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে নরসিংদী
জেলা ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগ। সোমবার নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে ঘটনার
নিন্দা এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করে জেলা ছাত্রলীগ,
শহর যুবলীগ ও জেলা শ্রমিক লীগ। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজালাল, শ্রমিক লীগের
আহ্বায়ক রিপন সরকার, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগের নেতারাসহ বিভিন্ন ইউনিটের অন্যান্য নেতা উপস্থিত ছিলেন।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে হত্যার চেষ্টা ও গুলির ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাতপরিচয় আসামির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’