ভুয়া প্রবেশপত্র
নীলফামারী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩ ০০:২২ এএম
শনিবার নীলফামারীতে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে ভুয়া প্রবেশপত্র (এডমিট কার্ড) নিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা দিতে এসে ধরা পড়েছেন সাহাদাত হোসেন নামে এক যুবক। প্রবা ফটো
নীলফামারীতে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে ভুয়া প্রবেশপত্র (এডমিট কার্ড) নিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা দিতে এসে ধরা পড়েছেন সাহাদাত হোসেন নামে এক যুবক। শনিবার (৪ মার্চ) বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (৩ মার্চ) দুপুরে নীলফামারী পুলিশ লাইন্স মাঠে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের কাগজপত্র যাচাই-বাচাইয়ের সময় সাহাদাতের ভুয়া প্রবেশপত্র ধরা পড়ে। সাহাদাত ডিমলা উপজেলার মধ্য ছাতনাই এলাকার মো. হারুন অর রশিদের ছেলে।
নীলফামারী সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুল আলম বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সাহাদাতের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২-৪ মার্চ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগে বিভিন্ন ইভেন্টে পরীক্ষা হয়। পরীক্ষা চলাকালে উত্তীর্ণদের কাগজপত্র যাচাই-বাচাইয়ের সময় সাহাদাত হোসেন চলতি বছরের টিআরসি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের বদলে ২০২২ সালের পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রদর্শন করেন। সেই প্রবেশপত্রের সিরিয়াল নম্বরের জায়গায় ফেব্রুয়ারি/২২ সালের অকৃতকার্য এক পরীক্ষার্থী স্বাধীন রায়কে পাশ করানোর জন্য আরও কয়েকজনের সহযোগীতায় তার ২০২৩ সালের প্রবেশপত্রের সিরিয়াল নাম্বার কৌশলে সন্নিবেশিত করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং উর্ত্তীণ হন।
পরে উত্তীর্ণদের কাগজপত্র যাচাই-বাচাইয়ের সময় তার ভুয়া প্রবেশপত্র ধরা পড়ে যায়। পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে সব কাগজপত্র ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা আইন অনুযায়ী পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।
নীলফামারীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিয়োগে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন কিংবা অন্য কোনো উপায়ে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। চাকরি হবে সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে। ওই ব্যক্তি অসৎ পথ অবলম্বণ করে অন্যজনকে পাশ করানোর জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে অবৈধ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।