চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩ ১২:৩১ পিএম
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৩ ১৩:০০ পিএম
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন বিস্ফোরক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। প্রবা ফটো
চট্টগ্রামে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের ফায়ার লাইসেন্স আছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি ফায়ার সেফটি প্ল্যান বাস্তবায়ন করেনি। সেফটি প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য তারা আবেদন করেছিল। ফায়ার সার্ভিস থেকে ইন্সপেকশন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ মিয়া।
রবিবার (৫ মার্চ) সকালে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের দুর্ঘটনার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সকালে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। দুর্ঘটনা কবলিত সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে পর্যাপ্ত অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কিনা সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ঘটনাস্থলে এসে আমরা বেশ কিছু ফায়ার এস্টেঙ্গুইসার দেখেছি। তবে পর্যাপ্ত এস্টেইঙ্গুইসার ছিল কিনা আমরা নিশ্চিত নই।’
অক্সিজেন সিলিন্ডার ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে একটি গাইডলাইন মেনে চলতে হয়। সীমা অক্সিজেন প্রতিষ্ঠানটি মেনেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি বিস্ফোরক অধিদপ্তর ভালো বলতে পারবে।
সকালে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করতে আসেন বিস্ফোরক অধিদপ্তরের পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন। বিস্ফোরিত সিলিন্ডার ম্যানেজমেন্ট ঠিক ছিল কিনা সেটি খতিয়ে দেখছেন বিস্ফোরক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছি। এগুলো নিয়ে আমরা বিশ্লেষণ করে দেখবো। এরপর আমাদের প্রতিবেদন জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে জমা দেব। আর সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের বিস্ফোরক লাইসেন্স ছিল কিনা এটি কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে বলতে পারব।’
প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আব্দুল আলিম বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ছাড়পত্র, বিস্ফোরক লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স আছে। দুর্ঘটনার সময় ১৫ জন কর্মরত ছিল। এদের মধ্যে পাঁচ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। হতাহতদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে। তাদের আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।’
শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৬ জন নিহত ও ২০ জন আহত হন। ২ জন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। ১৮ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।