চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩ ১৩:০২ পিএম
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের ম্যানেজার আব্দুল আলিম। প্রবা ফটো
বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের ম্যানেজার আব্দুল আলিম। দুর্ঘটনার ১৯ ঘণ্টা পর রবিবার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় ঘটনাস্থলে আসেন তিনি।
এসময় সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আব্দুল আলিম বলেন, ‘১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ করা হয়। এখানে ৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করতেন। দুর্ঘটনার সময় ১৫ জন প্ল্যাটে কর্মরত ছিলেন। এদের মধ্যে ৫ জন নিহত হয়েছেন। বাকি ১০ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আমাদের প্রায় ৫০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটি এখনও নিশ্চিত নই। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটি আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি। হতাহতদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন থেকে একটি সহায়তা ডেস্ক খোলা হয়েছে, উনাদের সাথে সমন্বয় করে তাদের আর্থিক সহযোগিতা করা করা হবে।’
আব্দুল আলীম আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ছাড়পত্র, বিস্ফোরক লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স আছে। আমাদের সব কাগজ ঠিকঠাক আছে। পর্যাপ্ত অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল।’
শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বিকেল সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৬ জন নিহত ও ২০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ২ জন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। অন্য ১৮ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার পর রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। একই সময় বিস্ফোরিত সিলিন্ডার ম্যানেজমেন্ট ঠিক ছিল কিনা সেটি খতিয়ে দেখে বিস্ফোরক অধিদপ্তর। সকালে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করেন।
সকাল সাড়ে ৯ টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এখনও সেখানে সিলিন্ডারগুলো ছড়িয়ে সিটিয়ে পড়ে আছে। বিস্ফোরণে আশপাশের অনেক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেগুলো সরানোর কাজ করছে।
পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছি। এগুলো নিয়ে আমরা বিশ্লেষণ করে দেখব। এরপর আমাদের প্রতিবেদন জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে দেব।’
সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের বিস্ফোরক লাইসেন্স ছিল কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘এটি কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে বলতে পারব।’