মারধরে প্রসূতির ভ্রুণ নষ্টের অভিযোগ

নোয়াখালীর হাতিয়ায় পাতা কুড়ানোকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে এক প্রসূতির ভ্রূণ নষ্টের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নুসরাত আক্তার উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের মো. ফারুকের স্ত্রী।

শনিবার (৪ মার্চ) বিকালে উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রবিবার ভোরে ওই গৃহবধূর অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক খালেদ সাইফুল্যা ফয়সাল বলেন, ‘আহত গৃহবধূ অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তাকে আল্ট্রসনোগ্রাফি করানো হয়। তাতে দেখা যায়, তার গর্ভে দুটি সন্তান রয়েছে। এরমধ্যে একটি সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।'

গৃহবধূর স্বামী ফারুক হোসেন বলেন, ‘বাড়িতে শুকনো পাতা কুড়ানো নিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয় প্রতিবেশী আশ্রাফের পরিবারের। ঝগড়ার একপর্যায়ে আশ্রাফ হোসেন ও তার দুই সন্তান আমার স্ত্রীকে লাঠি নিয়ে এসে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এতে অজ্ঞান হয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে ঘরে নিয়ে যান। রাতে অবস্থার অবনতি হলে ভোরে স্ত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যাই।’

ফারুক হোসেন আরও বলেন, ‘ডাক্তার বলেছে ভ্রুণ নষ্ট হয়ে গেছে। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। স্ত্রীর চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে পারিনি। তবে মোবাইলে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানিয়েছি।’

অভিযুক্ত আশ্রাফ হোসেন বলেন, ‘বাড়িতে মহিলাদের সঙ্গে নুসরাতের ঝগড়া হয়। ঝগড়া থামাতে গিয়ে আমার সঙ্গে নুসরাতের হাতাহাতি হয়। তবে তাকে পিটানোর বিষয়টি সঠিক নয়।’