কুড়িগ্রাম পৌর ভবনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

কুড়িগ্রাম পৌরসভার মূল ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) কর্তৃপক্ষ। রবিবার (৫ মার্চ) সকালে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পৌরসভার বিভিন্ন খাতে চার কোটির বেশি টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।  

নেসকোর কুড়িগ্রাম কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আলিমুল ইসলাম সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র কাজিউল ইসলাম বিষয়টি স্বীকার করেছেন। 

নেসকো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দীর্ঘদিন থেকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছে না কুড়িগ্রাম পৌরসভা। এ কারণে বিভিন্ন খাতে মোট ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। এরমধ্যে পৌর ভবনের বিদ্যুৎ বিল প্রায় ছয় লাখ টাকা। 

নেসকো সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার মূল ভবনের বিদ্যুতের মিটার প্রায় ছয় মাস ধরে বিকল। নেসকো একাধিকবার নোটিস করার পরও মিটার পরিবর্তন করেনি কর্তৃপক্ষ। এ কারণে প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে নেসকো। এরপরে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানা গেছে।

আরও জানা গেছে, কুড়িগ্রাম পৌরসভার মূল ভবন, পৌর অডিটোরিয়াম, পানি পরিশোধনাগার, বাসস্ট্যান্ড ও সড়কবাতিসহ ২২টি হিসাব নম্বরে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। এসব হিসাব নম্বরে কোনোটিতেও নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হয় না। 

এদিকে পৌরসভার একটি সূত্র জানিয়েছে, আর্থিক সংকটের কারণে পৌর কর্তৃপক্ষ এসব বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ বা হালনাগাদ করতে পারছে না। ফলে দিনে দিনে বকেয়ার পরিমাণ বেড়েই যাচ্ছে।   

জানতে চাইলে পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম বলেন, ‘পৌরবাসীরা পানির বিলসহ বিভিন্ন সেবা খাতের বিল নিয়মিত পরিশোধ করছে না। রাজস্ব সংকটে পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। গত মাসেরও তিন লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল জমা করা হয়েছে।’

আর্থিক সংকট নেই দাবি করে মেয়র বলেন, ‘বাকি বিল দ্রুত পরিশোধ করে পুনরায় সংযোগ চালু করা হবে।’ 

নেসকোর কুড়িগ্রাম কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আলিমুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘নেসকোর কুড়িগ্রাম জোনের আওতাভুক্ত সেবাগ্রহীতা সব প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ বিল হালনাগাদ রয়েছে। শুধু পৌরসভার বকেয়া রয়েছে। বারবার তাগিদ দিলেও তারা বিল পরিশোধ করছিল না। প্রধান কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৌর ভবনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।’ বকেয়া পরিশোধ করলে পুনরায় সংযোগ দেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।