চলতি বছর হজের ব্যবস্থাপনা কেমন হবে সেটি নিয়ে নিশ্চিত নন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। তবে গত বছর হজের ব্যবস্থাপনা ভালো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘গত বছর হজের ব্যাপারে সাংবাদিকরা ভালো বা মন্দ কিছুই বলেনি। তাই আমরা বলতে পারি, গত বছর অনেক ভালো হজের ব্যবস্থাপনা হয়েছে। যারা হজ করেছেন তারা বলেছেন, গত বছরের মতো হজ অতীতে হয়নি। জানি না এ বছর কী হবে, তবে গত বছরের মতো করতে পারলে সম্মানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কাজ করে যাব।’
বুধবার (৮ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তবে রোজা বা পূজা এলে দাম না বাড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তার পরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন সময় চান্স খুঁজে নেন এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেন। প্রধানমন্ত্রী দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।’
চলতি বছরের হজের খরচ নিয়ে ইতোমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। এবার সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রায় সাত লাখ টাকার হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের মূল্য ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা করা হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে এ বছর সর্বনিম্ন খরচ হবে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এর বাইরেও হজ পালনকারীদের কোরবানি বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে হবে।
চলতি বছর হজযাত্রীদের বিমান ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। এবার বিমান ভাড়ার জন্য হজযাত্রীদের প্রায় ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। ২০২২ সালে হজের বিমান ভাড়া ছিল এক লাখ ৪০ হাজার টাকা। গত বছরের চেয়ে এ বছর বিমান ভাড়া বেড়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা।
ইতোমধ্যে সোমবার (৬ মার্চ) হজ ব্যবস্থাপনায় খরচ কমাতে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। নোটিশে চলতি মৌসুমে নির্ধারণ করা হজের খরচ ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা থেকে কমিয়ে ৪ লাখ টাকার মধ্যে পুনর্নির্ধারণ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফ-উজ্-জামান এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন।