পঞ্চগড় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৩ ২১:২৯ পিএম
আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৩ ২১:৩৭ পিএম
বুধবার আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান। প্রবা ফটো
আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান বলেছেন, হামলার ঘটনায় চুনোপুঁটিদের ধরে লাভ নেই, মূলহোতাদের ধরতে হবে। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, ‘যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে লুটতরাজ করার জন্যই ঘটিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এমন নৃশংস ঘটনা ঘটেনি। ইসলামের দৃষ্টিতেও এটি জঘন্য কাজ। প্রশাসন আরেকটু সতর্ক অবস্থান নিলে কিছুটা হলেও ক্ষয়ক্ষতি কম হতো। পুলিশ এখন কাদেরকে ধরছে? চুনোপুঁটিদের ধরে কী লাভ হবে? মূলহোতাদের আগে ধরতে হবে।’
বুধবার (৮ মার্চ) পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সংসদ সদস্য মজাহারুল এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নেতা আহমদ তবশের চৌধুরী, মাহমুদ আহমেদ সুমন, আহমদিয়া জামে মসজিদের ইমাম সালাহ উদ্দিনসহ ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে তিনি হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের বর্ণনা শোনেন।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তোয়বুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপেন চন্দ্র রায়, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন, ছাত্রলীগ সভাপতি আবু মো. নোমান হাসান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে সংসদ সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারের মাঝে একটি করে শাড়ি, লুঙ্গি ও কম্বল বিতরণ করেন।
আহমদিয়া জামাতের গণসংযোগ কর্মকর্তা তবশের চৌধুরী সংসদ সদস্য মজাহারুলকে বলেন, ‘আমরা কারও সাহায্য-সহযোগিতা চাই না। শুধু নিরাপদে বসবাস করতে চাই। নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চাই। নাম উল্লেখসহ ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করেছে। পুলিশও মামলা করেছে। কিন্তু প্রকৃত অপরাধীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। আহমদিয়াদের দুটি গ্রাম ও পঞ্চগড় শহরে আহমদিয়াদের দুই শতাধিক বাড়িঘর, দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে। ৭০ জন আহত হয়েছে। একজনকে হামলাকারীরা পিটিয়ে মেরেছে।’