জাটকা ধরায় চাঁদপুরে ১৮ জেলের নামে মামলা, আটজনের কারাদণ্ড

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকা ধরায় ২৯ জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ। এ সময় ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ৯০০ মিটার কারেন্ট জাল, পাঁচটি মাছ ধরার নৌকা ও ১৮৮ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকালে চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘জাটকা রক্ষায় বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। জাটকা ধরার সময় ২৯ জেলেকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে আটজনকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১৮ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া তিন শিশু জেলেকে সতর্ক করে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।’

তিনি জানান, জব্দ কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। মাছ ধরার পাঁচ নৌকা মামলার আলামত হিসেবে জব্দ রয়েছে। আর ১৮৮ কেজি জাটকা স্থানীয় গরিব-দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলার আসামিরা হলেন মো. ফারুক, মো. কবির, মো. শামীম, মো. ইমরান, মো. মাহবুব, জাবের হোসেন, আলমগীর প্রধানিয়া, রাশেদ হোসেন শেখ, রফিকুল ইসলাম বেপারী, শাহাদাত হোসেন ইমান, সৈয়দ হোসেন শিকদার, বিল্লাল হোসেন প্রধানিয়া, দুলাল মৃধা, আক্তার হোসেন গাজী, আবদুল করিম তপাদার, আজির আলী মির, মহসিন প্রধানিয়া, আল-আমিন হাওলাদার। এদের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায়।

দণ্ডিতরা হলেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার নুনের টেক এলাকার শুক্কুর আলী, আমির হোসেন, শিপন, সেন্টু, মাঈন উদ্দিন, কবির হোসেন, মো. সুমন, শেখ ফরিদ।

পদ্মা-মেঘনায় জাটকা রক্ষায় সরকার ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকাসহ সব ধরনের মাছ আহরণ, কেনাবেচা, মজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে।