লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার চারজনকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে। প্রবা ফটো
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ বাজারে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্য আহতের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এর মধ্যে আটক চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে এদিন সকালে চন্দ্রগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মহসিন বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এম মাসুদুর রহমানকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম শিপন খলিফা, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক রিয়াজ হোসেন জয়, ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব ও আরাফাত হোসেন রিফাত।
এজাহারনামীয় অন্য আসামিরা হলেন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গিয়াস উদ্দিন লিটন, ইউপি সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ সোলাইমান, ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক রিংকুসহ ১১ জন।
এজাহারে বলা হয়েছে : বুধবার (৮ মার্চ) চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে নেতাকর্মীরা রাতে আনন্দ মিছিল বের করেন। এ সময় চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিলে বাধা দেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়ে যায়। এ সময় তাদের সতর্ক করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তারা পুলিশের ওপর হামলা চালান। তাদের ছোড়া ইটপাটকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক জাকির হোসেন ও চন্দ্রগঞ্জ থানার কনস্টেবল মোজাম্মেল হোসেন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেন, ‘আমি মারামারি ঘটনায় ছিলাম না। পারিবারিক কাজে ব্যস্ত ছিলাম। কেন আমাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে বুঝতে পারছি না।’
চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমার ভাই আকবর হোসেনকে মারধর করার ঘটনায় আমি প্রতিবাদ করি। এতে আমাদের ওপর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের লোকজন হামলা চালায়। এ নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আমরা পুলিশের ওপর হামলা করিনি।’
এ বিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়েছি। আমাদের আনন্দ মিছিলে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে হামলা হয়। এতে আমাদের আট নেতাকর্মী আহত হন। পুলিশ আমাদের চারজনকে আটক করে নিয়ে গেছে। কিন্তু মূল হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করেনি!’
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আটক চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাদের লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’
সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি
প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু
রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯
যোগাযোগ
প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯, +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ । ই-মেইল: [email protected]
সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]
2023 Protidiner Bangladesh All Rights Reserved. Developed By Protidiner Bangladesh Team.