মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩ ১৯:১৮ পিএম
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৩ ২০:০৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
সারা দেশে আমন ধান ও চাল সংগ্রহের শেষ দিন ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি। ধানের জেলাখ্যাত কিশোরগঞ্জে এখন পর্যন্ত এক গ্রাম ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি সরকার। তবে চাল সংগ্রহ হয়েছে চুক্তির ৫৭ শতাংশ। লক্ষ্য পূরণ করতে প্রথমে মেয়াদ এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ৭ মার্চ করা হয়। কিন্তু ৭ মার্চও ধান সংগ্রহের পরিমাণ শূন্যের কোটায়।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক নাজমুল হক ভূঁইয়া প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ’খোলাবাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষক সরকারি গুদামে ধান দিতে চান না। চালের দামও খোলাবাজারে বেশি। সরকার ৪২ টাকা কেজি দরে চাল কিনছে। কিন্তু ধানের দাম বেশি হওয়ায় মিলারদের প্রতি কেজি চাল উৎপাদনে খরচ হয় ৪৫ টাকার বেশি। খাদ্য বিভাগের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্য তারা কিছু চাল সরবরাহ করেছেন।’
এ বছর সরকার প্রতি কেজি ধানের সংগ্রহমূল্য নির্ধারণ করে ২৮ টাকা। আর প্রতি কেজি সেদ্ধ চালের সংগ্রহমূল্য নির্ধারণ করে ৪২ টাকা। সংগ্রহের মেয়াদ ছিল গত ১৭ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি। জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্য ধরা হয় ৪ হাজার ৮৮০ মেট্রিক টন। চাল সংগ্রহের লক্ষ্য ধরা হয় ৬ হাজার ২৭১ মেট্রিক টন। তবে ৪৩টি চালকলের সঙ্গে চুক্তি করা হয় ৩ হাজার ৭১৭ টন সরবরাহের। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে চুক্তির ৫৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ চাল। কিন্তু ধান এক গ্রামও সংগ্রহ হয়নি।
সদর উপজেলার রশিদাবাদ গ্রামের আমন চাষি লুৎফুর রহমান বলেন, ’বাজারে ৩০ টাকা কেজি ধান বিক্রি করা সহজ। কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই ৩০ টাকা কেজি ধান বিক্রি করা যায়। আর সরকারের কাছে ২৮ টাকা কেজি ধান বিক্রি করতে গেলে আর্দ্রতা পরিমাপসহ নানা ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই কৃষক কম দাম এবং ঝামেলায় পড়তে হয় বলে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করেনি।’
একই এলাকার ৫৫ বছর বয়সি কৃষক হাছন মিয়াও একই বক্তব্য দেন।