পঞ্চগড় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৩ ১২:৪৮ পিএম
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৩ ১৩:১০ পিএম
পঞ্চগড়ে অতিরিক্ত সতর্কতা ও যেকোনো ধরনের সংঘাত এড়াতে বিজিবি মোতায়েন করেছে প্রশাসন। প্রবা ফটো
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পরই মুসল্লি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সে ঘটনার জেরে আজ শুক্রবার (১০ মার্চ) সতর্কতা হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষের এক সপ্তাহ পরে আবারও জুমার নামাজকে কেন্দ্র করে এই বাড়তি সতর্ক অবস্থান নিয়েছে জেলার আইনশৃঙ্খা রক্ষা বাহিনী।
শুক্রবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা ব্যবস্থা। প্রতিটি মসজিদে সাদা পোশাকে থাকবে পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও।
মসজিদের খুতবায় কোনো ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য না দিতে ইমামদের অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন।
অন্যদিকে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের দুটি মসজিদসহ আহমদনগর, নতুনবন্দর, ফুলতলা, শালশিরিসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে পুলিশ ও বিজিবির টহল এবং অবস্থান জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতাও।
এদিকে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর সংঘর্ষে ও পরের দিন রাতে আবারও হামলা, লুটপাট-অগ্নিসংযোগের অভিযোগে নতুন করে তিনটি মামলা করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চগড় সদর থানায় এ মামলা তিনটি করা হয়। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মামলার সংখ্যা দাঁড়াল ১৬টিতে।
এর মধ্যে পঞ্চগড় সদর থানায় ১৪টি ও বোদা থানায় দুটি মামলা করা হয়। পুলিশের ট্রাফিক অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, সরকারি কাজে বাধা দান, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও বিস্ফোরণ ঘটানো, বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ বেশকিছু অভিযোগে পুলিশ পঞ্চগড় সদর থানায় ১২টি ও বোদা থানায় একটিসহ ১৩টি মামলা করেছে।
এ ছাড়া র্যাবের গাড়ি পোড়ানোয় র্যাবের পক্ষ থেকে একটি ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, বাড়িঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি ও বোদা থানায় একটিসহ দুটি মামলা করা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। এ নিয়ে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল ১৭৩ জনে। মামলাগুলোতে মোট আসামি করা হয়েছে নামীয়সহ অজ্ঞাতপরিচয় অন্তত ১১ হাজার জনকে।
শুক্রবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা। তিনি বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় আরও মামলা করব। ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের ধরা হচ্ছে। অযথা কাউকে হয়রানি বা আসামি করা হবে না। সে বিষয়ে আমরা খেয়াল রাখছি। বর্তমানে পঞ্চগড়ের পরিবেশ, পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বাড়তি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা।’