ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৬:২৪ পিএম
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৬:২৮ পিএম
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্কুল পরিচালনা কমিটির এক সদস্যের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) উপজেলার কাঞ্চননগর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর নাম মো. সাইফুল ইসলাম। সে কাঞ্চননগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। অভিযোগ স্বীকার করে এ ঘটনায় অনুতপ্ত বলেছেন স্কুল পরিচালনা কমিটির শরফ উদ্দিন।
সাইফুলের বাবা দেলোয়ার হোসেন জানান, স্কুলে সাইফুলের মডেল টেষ্ট পরীক্ষা চলছিল। এ পরীক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক কোচিংও করতে হয়। পরীক্ষা এবং কোচিং একসঙ্গে হওয়ায় শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করে যেকোনো একটি চালু রাখার দাবি জানায়। এতে প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে বিষয়টি স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য শরফ উদ্দিনকে জানান। এরই মধ্যে মঙ্গলবার শরফ উদ্দিন স্কুলে এসে শিক্ষার্থীদেরকে স্কুল অফিসে ডেকে নিয়ে ধমকাতে থাকেন। এ সময় পরীক্ষার্থী সাইফুল প্রতিবাদ করলে তাকে বেত দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটান তিনি। এ ঘটনায় হতবাক হয়ে পড়ে অনান্য শিক্ষার্থীরা। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সমালোচনার ঝড় উঠে।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ছেলে দোষ করলে স্কুলের শিক্ষক তাকে শাসন করবেন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট অভিভাবককে ডেকে বিষয়টি অবহিত করবেন। কিন্তু তা না করে এভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় একজন শিক্ষার্থীকে পিটানো অমানবিক।’ অবশ্য অভিযুক্ত পরিচালনা কমিটির সদস্য শরফ উদ্দিন স্থানীয় লোকজন নিয়ে সাইফুলের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানান তিনি।
স্কুল পরিচালনা কমিটির শরফ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ স্বীকার করে তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থীকে এভাবে মারধর করা ঠিক হয়নি। তিনি এ জন্য অনুতপ্ত।
অভিভাবক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য শফিউল আজম বলেন, ‘স্কুলের প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতায় স্কুলটিতে নানা অনিয়ম চলছে। এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বোর্ডের নির্ধারিত ফি এর বাইরে ৩ হাজার ২০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। এছাড়া উন্নয়ন ফি নামেও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। প্রধান শিক্ষকের যোগসাজসে কোচিং বাণিজ্য চলছে।’
এসব বিষয়ে জানতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুচ ছাত্তারকে একাধিক ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি।