নারায়ণগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৭:৫৫ পিএম
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৮:৫০ পিএম
র্যাবের গাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে আটক হন ৮ ডাকাত। প্রবা ফটো
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়ার চর বাউসিয়া এলাকায় র্যাবের একটি টহল গাড়ি যানজটে আটকা পড়ে। জায়গাটি ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন। সে সুযোগে সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি মনে করে ১০ থেকে ১২ জনের একদল ডাকাত ডাকাতি করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু র্যাব সদস্যরা বিষয়টি বুঝতে পেরে ধাওয়া দিয়ে হাতেনাতে আটজনকে আটক করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে র্যাব।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুরে র্যাব-১১-এর স্কোয়াড্রন লিডার (উপপরিচালক) একেএম মুনিরুল আলম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, মো. সুজন, মো. রাসেল, মো. আলাউদ্দিন, মো. বাদশা হোসেন দিপু, মো. সাব্বির, মো. হাবিবুর রহমান, মো. মিন্টু ও মো. সিয়াম।
র্যাব কর্মকর্তা মনিরুল আলম জানান, ডাকাতি নিরসনে র্যাব-১১ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় নিয়মিত অভিযান ও টহল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। গত এক বছরে ডাকাতির বিরুদ্ধে ৩৫টি অভিযান পরিচালনা করে ১১৪ জনকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
র্যাব-১১-এর এই কর্মকর্তা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-১১-এর একটি আভিযানিক দল কাঁচপুর থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত যায়। দাউদকান্দি থেকে ফেরার পথে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন চর বাউসিয়া এলাকায় পৌঁছালে র্যাব ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় যানজটে পড়ে।
এ সময়ে সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি মনে করে ১০ থেকে ১২ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতির উদ্দেশে সাদা পোশাকে থাকা র্যাব সদস্যদের গাড়িটিকে ঘেরাও করেন। তখন র্যাব সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে ধাওয়া করে ডাকাত দলের দলনেতাসহ আট সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ হাতেনাতে আটক করেন। অন্যরা পালিয়ে যায়। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অস্ত্রসহ ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, আটক ব্যক্তিরা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র এবং তাদের দলের সদস্য সংখ্যা ১২ থেকে ১৫ জন। ডাকাত দলের দলনেতা সুজন ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারের যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করে আসছিল।
গত দুই বছরে তারা এই মহাসড়কে প্রায় ৫০টির অধিক ডাকাতি করেছে বলে স্বীকার করেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতদের গ্রেপ্তারে র্যাব-১১-এর অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
আটকদের মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানায় হন্তান্তর করা হয়েছে।