এক বিয়ের তিন কাবিননামা, গ্রেপ্তার ২

বিয়ের কাবিননামা জালিয়াতির অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় এক বিয়ের বিপরীতে তিনটি কাবিননামা আদালতে জমা পড়ার ঘটনা খতিয়ে দেখতে গিয়ে ওই দুজনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর হালিশহর থানাধীন বড়পোল এলাকায় নবাব রেস্তোরা অ্যান্ড বিরানি হাউস থেকে প্রথমে হোতা মঞ্জুর আলম প্রকাশ বাপ্পি ও পরে টিপু দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

মঞ্জুর নগরীর বন্দর থানাধীন ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দা ও টিপু কোতোয়ালী থানাধীন পাথরঘাটা এলাকার রবীন্দ্র দাশের ছেলে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মো. মাসুদ পারভেজ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পরিদর্শক মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় বাদী সাজেদা বেগম আট লাখ টাকা দেনমোহরের একটি কাবিননামা আদালতে উপস্থাপন করেন। অপরদিকে ওই মামলার আসামি মাহবুব আলম গত বছরের ১৬ মার্চ কাজী মৌলানা জামাল উদ্দিনের স্বাক্ষরযুক্ত বিয়ের কাবিননামার একটি সত্যায়িত প্রতিলিপি আদালতে জমা দেন। ওই কাবিনে দেনমোহরের পরিমাণ ছিল এক লাখ এক টাকা। পরে আসামি একই বছরের ৩০ জুন ৩ লাখ টাকা দেনমোহরের আরও একটি কাবিননামা আদালতে জমা দেন। একই বর কনের ভিন্ন ভিন্ন দেনমোহর পরিমাণের ৩টি কাবিননামা আদালতে জমা পড়ায় আদালত তা তদন্তের নির্দেশ দেয় পিবিআইকে।’

পিবিআই পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, ‘মঞ্জু পুলিশকে জানায়- সে তার সিন্ডিকেটের সহায়তায় দীর্ঘ দিন ধরে জাল কাবিননামা তৈরি করে আসছিল। তাকে এই কাজে সহযোগিতা করতো কাজী জামাল উদ্দিন ও ফটোস্ট্যাটের দোকানি টিপু দাশ।