সংগৃহীত ছবি
কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ে লাকড়ি সংগ্রহকালে অপহৃত সাতজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার জাহাজপুরার গহীন পাহাড় থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফ থানার পুলিশ কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকা থেকে ৯ জনকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। মুক্তিপণের দাবিতে তাদের জিম্মি করা হয় বলে জানানো হয়। পরে মোহাম্মদ আমির (১১) ও রিফাত উল্লাহ (১২) নামের দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সে সময় জিম্মি রাখা হয়েছিল সাতজনকে।
তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, জাহাজপুরা গ্রামের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন (১৭), ফজল করিম (৩৮), জাবেরুল ইসলাম (৩৫), আরিফ উল্লাহ (২২), মোহাম্মদ রশিদ (২৮), মোহাম্মদ জাফর (৩৮), মোহাম্মদ জয়নুল (৪৫)।
অপহরণের পরপর স্বজনদের বরাতে বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালের দিকে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা দলবেঁধে পাহাড়ের ভেতরে কাঠ সংগ্রহ করতে গেলে অস্ত্রধারী ১৫-২০ জন তাদের ঘিরে ফেলে অস্ত্রের মুখে জিন্মি করেন।’
টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) মো. নাছির উদ্দিন জানান, ‘ঘটনার পরপরই প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি পুলিশের কয়েকটি দল অভিযান শুরু করে। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের সঙ্গে পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে অভিযানে সহযোগিতা করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় গহীন পাহাড়ে তাদের রেখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এরপর তাদের উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’
বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান জানান, ‘লাকড়ি সংগ্রহের কথা বলে হলেও সাতজনের মধ্যে একজন কলেজ ছাত্র। স্বাভাবিকভাবে ওই ছাত্রের সেখানে যাওয়ার কথা না। তা ছাড়া পাহাড়ে একই ধরনের ঘটনা আগে হলেও কেন এরা পাহাড়ে গিয়েছিলেন, বিষয়টি পরিষ্কার না। ফলে পুরো ঘটনা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।’
পুলিশ কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন জানান, ‘উদ্ধার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের পর বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে। এরূপ অপহরণের ঘটনা নিয়ে নানা সন্দেহ রয়েছে। এটা বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার সারা দিন অপহৃতদের স্বজনদের সঙ্গে আলাপ করার চেষ্টা করলেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ৬ মাসে টেকনাফের পাহাড়ি অঞ্চলে ৪১ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৭ জন রোহিঙ্গা হলেও ২৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা। যেখানে ২২ জন মুক্তিপণের টাকা দিয়ে ফেরত আসার তথ্য জানিয়েছিলেন। সর্বশেষ গত ৩ মার্চ ২ শিশু অপহরণের ৮ ঘণ্টা পর ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসে।
এ ছাড়া ২১ জানুয়ারি হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়ক পাহাড়ি ঢালের ভেতর থেকে মোহাম্মদ হোসেন নামে এক ইজিবাইকচালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি
প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু
রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯
যোগাযোগ
প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯, +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ । ই-মেইল: [email protected]
সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]
2023 Protidiner Bangladesh All Rights Reserved. Developed By Protidiner Bangladesh Team.