শিবচরে এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে খাদে বাস, নিহত বেড়ে ১৯

মাদারীপুরের শিবচরে এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে খাদে বাস পড়ে নিহত বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। রবিবার (১৯ মার্চ) সকালে শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি বাস উল্টে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে।

মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘সকালে ইমাদ পরিবহনের একটি বাস খুলনা থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। বাসটি পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলেই ১৪ জনের মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে আহতদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়া হয়। আহতদের মধ্যে গুরুতর তিন জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারা মারা যান এবং অন্যান্য  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ২ জনের মৃত্যু হয় বলে খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হলো।’

তিনি জানান, নিহত ও আহতদের মধ্যে চারজনের প্রাথমিক ঠিকানা শনাক্ত করা গেছে। 

এরা হলেন, খুলনা সদরের জুমা আক্তার, সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ফয়সাল হোসেন, বাগেরহাটের মোল্লার হাটের শাহীন মোল্লার স্ত্রী আনোয়ার বেগম, একই এলাকার শাহিন মোল্লার ৭ বছরের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন। 

মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির মরদেহ দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। 

ওসি আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক বলেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গতির কারণে বাসটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি খাদে পড়ে যায়।

স্থানীয় উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, বাসটি ভরা যাত্রী ছিল। সড়ক থেকে বাসটি পড়ার সময় ডিগবাজি খায়। এ কারণে এত প্রাণহানি।

তিনি জানান, ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন- আব্দুল হামিম, শেখ ফয়সাল আহমেদ, বদরুদ্দোজা, পংকজ কান্তি ঘোষ, ঝুমা আক্তার, এনামুল ও বুলবুল আহমেদ। তবে নিহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। তাদের নাম-ঠিকানা এখনও জানা যায়নি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।